সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি তালা 'ভাঙতে' পারলেও সিবিআই 'ফাঁসে' এখনও জেলবন্দি কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় বন্দিদশা কাটাতে এবার জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সিবিআই মামলায় হাই কোর্টে হতাশ হওয়ার পর এবার সুপ্রিম দ্বারস্থ হলেন তিনি। কেজরির আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই আবেদন দাখিল করেছেন।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ২১ মার্চ থেকে জেলবন্দি কেজরিওয়াল। মাঝে কিছুদিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে লোকসভা ভোটের প্রচার সারেন তিনি। এর পর ফের আত্মসমর্পণ করেন। যদিও তিহাড়ে বন্দি অবস্থাতেই মুক্তির লড়াই চালাচ্ছিলেন কেজরিওয়াল। কিছুদিন আগে ইডির মামলায় শীর্ষ আদালত জামিন দেয় কেজরিওয়ালকে। তবে জামিনে মুক্তির আগেই কেজরিকে জেলেই গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ফলে সিবিআই ফাঁসে আটকা পড়ে জেলমুক্তির অধরাই থেকে যায়।
[আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট পর্যন্ত গ্রেপ্তারিতে মানা, আদালতের রক্ষাকবচ পেলেন পূজা খেদকার]
নতুন করে ফের সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। জামিন চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল। যদিও আদালত জানিয়ে দেয়, সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারি মোটেই অবৈধ নয়। গ্রেপ্তারির পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এজেন্সির হাতে। ৫ আগস্ট এই মামলায় হাই কোর্টে কেজরির আবেদন খারিজ হওয়ার পর এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে সুপ্রিম কোর্টে কবে কেজরিওয়ালের এই মামলার শুনানি হবে তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: ৭১-এর পাক আত্মসমর্পণের ভাষ্কর্য ভাঙচুর বাংলাদেশে, কড়া প্রতিক্রিয়া শশী থারুরের]
অন্য একটি মানহানি মামলায় শীর্ষ আদালতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ৬ বছর আগের সেই মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ ৬ সপ্তাহের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, ইউটিউবার ধ্রুব রাঠির ২০১৮ সালের একটি ভিডিও রিটুইট করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এর জেরে ২০১৯ সালে কেজরিকে সমন পাঠিয়ে ডেকে পাঠায় নিম্ন আদালত। যদিও হাজিরা না দিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু হাই কোর্টও কেজরিকে সমন পাঠায়। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টে যান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। দোষ স্বীকার করে জানান, ভিডিও রিটুইট করে ভুল করেছিলেন। যার পর নিম্ন আদালতের নির্দেশের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ। সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ৬ সপ্তাহের জন্য বাড়াল শীর্ষ আদালত।