সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারদিনের নাটকীয় টানাপোড়েনে ইতি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পূর্ব ঘোষণা মতো মঙ্গলবার দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র তুলে দেন কেজরি। একই সঙ্গে তাঁর পছন্দের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী অতিশী নতুন করে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন। শীঘ্রই শপথ নেবেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকালে কেজরিওয়াল অতিশী এবং মণীশ সিসোদিয়াকে সঙ্গে নিয়ে উপরাজ্যপালের বাসভবনে যান। সেখানেই নিজের ইস্তফার কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে অতিশীও নতুন সরকার গঠনের দাবি জানান। এদিন সকালেই আপের বিধায়কদলের বৈঠকে অতিশীকে নেত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। তাঁর নাম প্রস্তাব করেন আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল নিজেই। আগামী ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন শপথ নেবেন।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর পদে অতিশীর মেয়াদ বেশিদিনের নয়। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই দিল্লিতে ভোট হওয়ার কথা। কেজরিওয়াল নিজে অবশ্য নভেম্বরেই দিল্লিতে ভোট চান। আপ পুনরায় নির্বাচিত হলে যে কেজরিওয়ালই ফের কুরসিতে বসবেন সেটা দলের তরফে স্পষ্টও করে দেওয়া হয়েছে। এদিন অতিশী নিজেও দিল্লিবাসীর কাছে কেজরিওয়ালকে ফের মুখ্যমন্ত্রী করার আর্জি জানিয়েছেন।
অতিশী এই মুহূর্তে দিল্লির শিক্ষা ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী অতিশী। এর পর সোজা মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন। রাজনীতিবিদ হিসেবে অতিশীর কেরিয়ার খুব বেশিদিনের না হলেও দক্ষতায় তিনি বেশ উজ্জ্বল ছাপ রেখেছেন। আপ গঠনের সময় থেকে কেজরির কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন অতিশী। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী অতিশী কালকাজি এলাকার বিধায়ক। গত বছর আবগারি মামলায় দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর অতিশীকে মন্ত্রিসভায় আনেন কেজরিওয়াল। দেওয়া হয় শিক্ষাদপ্তরের দায়িত্ব।
চলতি বছর মুখ্যমন্ত্রীর জেলযাত্রার পর দল এবং প্রশাসনে অতিশীর দায়িত্ব বাড়ানো হয়। কেজরির অনুপস্থিতিতে তিনিই প্রায় প্রশাসন সামলেছেন। সেসবেরই পুরস্কার হিসেবে তাঁকে আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসানোর সিদ্ধান্ত নিলেন আপ সুপ্রিমো। আরও তাৎপর্যপূর্ণ, অতিশী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হলে দেশ দুজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পাবে। বাংলায় এই পদে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।