সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক দল কংগ্রেস ও আপের মধ্যে রাজনৈতিক বিবাদ ছিলই। পাঞ্জাবের কংগ্রেস বিধায়ক সুখপাল সিং খইরার গ্রেপ্তারির পর থেকে দুই শিবিরের মধ্যে চাপানউতোর এখন তুঙ্গে। যার ফলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, ফাটল ধরতে পারে জোটে। এই প্রেক্ষিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সাফ বার্তা, জোটের প্রতি দায়বদ্ধ রয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)।
শুক্রবার আপ সুপ্রিমো কেজরি সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমাদের দল ইন্ডিয়া জোটের কাছে দায়বদ্ধ। আপ এই জোটের থেকে বিচ্ছিন্ন নয়।” এর পর তিনি আরও বলেন, “আমি আর আমার দল মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি জানতে পেরেছি পাঞ্জাব পুলিশ গতকাল কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও এই বিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই। পুলিশের কাছেই সব তথ্য আছে। আমি কোনও একজন ব্যক্তির বিষয়ে মন্তব্য করব না। কিন্তু আমরা মাদকের বিনাশ করবই।”
[আরও পড়ুন: কাবেরী ইস্যুতে কর্নাটকে ১২ ঘণ্টার বনধ, বহু উড়ান বাতিলে বিশৃঙ্খলা বিমানবন্দরে]
বৃহস্পতিবার মাদক মামলায় কংগ্রেস বিধায়ক সুখপাল সিং খইরাকে (Sukhpal Singh Khaira) গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ। চণ্ডীগড়ে সেক্টর-৫ এ তাঁর বাংলোয় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস (Congress) বিধায়কের বিরুদ্ধে আগেই নারকোটিক্স অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইনে মামলা ছিল। ওই পুরনো মামলার সূত্র ধরেই জালালাবাদ পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়।
এদিকে, সুখপালের গ্রেপ্তারির পর ক্ষোভ উগরে দেয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সাফ বলেন, “যদি আমাদের সঙ্গে কোনওরকম কোনও অন্যায় হয়ে থাকলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না। কংগ্রেস অন্যায় বরদাস্ত করবে না।”
বলে রাখা ভালো, আপের সঙ্গে জোট নিয়ে আপত্তি রয়েছে বহু কংগ্রেস নেতার। অতীতেও সন্দীপ দীক্ষিতের মতো কং নেতারা এনিয়ে সরব হয়েছেন। এদিকে, ইন্ডিয়া জোটের ছত্রছায়ায় থেকেও আপের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন সুখপাল। আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডার বিয়ে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানের কাছেও বিলাসবহুল বিয়ের খরচের খতিয়ান চেয়েছিলেন তিনি। এই প্রেক্ষাপটে গ্রেপ্তার করা হয় সুখপালকে। এই ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ফলে দুই শিবিরের এই বিবাদ ইন্ডিয়া জোটে চিড় ধরায় কিনা সেদিকেই এখন নজর সকলের।
[আরও পড়ুন: মানেকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ইসকনের, ১০০ কোটির খেসারত দাবি]