সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুঙ্গে উপরাজ্যপাল বনাম দিল্লি সরকারের সংঘাত। অভিযোগ, মোদি সরকারের বকলমে লড়াই চালাচ্ছেন উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা। এবার তাঁর ফরমানে চাকরি গেল ৪০০ জনের। পালটা, সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লি দরবারের দখল নিয়ে কেন্দ্র বনাম কেজরি লড়াই চলছে। প্রশাসনিক ক্ষমতা ও আমলাতন্ত্রের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে মরিয়া উভয়পক্ষই। এহেন পরিস্থিতিতে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দিল্লি সরকারের বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত প্রায় ৪০০ চুক্তিভিত্তিক কর্মীর চাকরি কেড়ে নিয়েছেন উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা। তাঁর অভিযোগ, উক্ত ব্যক্তিরা কী কাজে নিযুক্ত ছিলেন তা স্পষ্ট নয়। তাঁদের নিয়োগ নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। ফলে তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার এনিয়ে এক বিবৃতি জারি করে আম আদমি সরকার জানিয়েছে, রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাবে তারা। উপরাজ্যপালকে একহাত নিয়ে ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘দিল্লিকে ধ্বংস করতে মরিয়া উপরাজ্যপাল। শুধুমাত্র দিল্লি সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্যই আজ এই প্রতিভাবান ৪০০ জনকে চাকরি খোয়াতে হল।’
[আরও পড়ুন: মণিপুর হিংসার আঁচ মিজোরামেও! কবে ফিরবে শান্তি, প্রশ্ন জোরামথাঙ্গার]
উল্লেখ্য, পদস্থ আমলাদের বদলির অধিকার নিয়ে কার্যত যুদ্ধ চলছে উপরাজ্যপাল ও দিল্লি সরকারের মধ্যে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মাস তিনেক আগে সেই অধিকার বর্তেছিল দিল্লি সরকাররের হাতেই। পালটা, গত মে মাসে সেই রায় বাতিল করে নতুন অধ্যাদেশ আনে মোদি সরকার।
কেজরি সরকারকে কোণঠাসা করতে The Government of CNCT of Delhi (Amendment) ordinance শীর্ষক একটি অধ্যাদেশ আনে কেন্দ্র। গঠন করা হয় ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল সিভিল সার্ভিসেস অথরিটি’। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি অ্যাক্ট, ১৯৯১-কে সংশোধন করে এই অধ্যাদেশ আনে মোদি সরকার। ফলে সুপ্রিম রায় বাতিল হয়ে ফের একবার দিল্লির আমলাদের বদলির ক্ষমতা চলে গেল কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই। নয়া অধ্যাদেশের ফলে আমলা বদলির ক্ষেত্রে ফের ‘সর্বশক্তিমান’ হয়ে উঠলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর। অধ্যাদেশটিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দিল্লি প্রশাসনে কর্মরত গ্রুপ-এ আমলাদের বদলি তথা নতুন পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে শেষ কথা বলবেন উপরাজ্যপালই। তবে এই অর্ডিন্যান্স সদনের দুই কক্ষে পাশ করতে হবে সরকারকে। এবং রাজ্যসভায় এই মুহূর্তে সংখ্যালঘু বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা হতে পারে বিরোধীরা।