সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছে আপ আদমি পার্টি। লড়ছে কাশ্মীরেও। তাতে বিজেপির যা ক্ষতি হয়েছে, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের। এমনকী ইন্ডিয়া জোটের শরিক কংগ্রেস সরাসরি হরিয়ানায় হারের জন্য আপকে দায়ী করেছে। ভোট কাটুয়া বলে তোপও দেগেছে। সম্ভবত সেকারণেই, আসন্ন দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিল দিল্লির শাসকদল। দুই রাজ্যের ভোটে লড়বে না আপ। তবে ইন্ডিয়া জোটের হয়ে প্রচার করবেন কেজরিওয়াল।
শনিবার আপের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মহারাষ্ট্রে তাঁরা কোনও আসনে প্রার্থী দেবেন না। দলের মহারাষ্ট্র ইউনিট কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিতে চাইলেও তাতে সায় দেয়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আপের দাবি অনুযায়ী, শরদ পওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরে দুজনেই কেজরিওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের আহ্বানে মহারাষ্ট্রে প্রচারেও যাবেন কেজরিওয়াল। তবে প্রার্থী দেবেন না কোনও কেন্দ্রে। ঝাড়খণ্ডেও হেমন্ত সোরেনের দলের হয়ে প্রচার করবেন আপ সুপ্রিমো। সে রাজ্যেও প্রার্থী দেবে না আপ।
দিল্লিতে ক্ষমতা দখলের পরই কেজরিওয়াল আপকে সারা দেশে বিজেপি এবং কংগ্রেসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। দিল্লির বাইরে পাঞ্জাবে সাফল্যও পেয়েছে আপ। আরও কয়েকটি রাজ্যে যৎকিঞ্চিত সংগঠন তৈরি করতে পেরেছে কেজরির দল। তবে দেশের সব রাজ্যেই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে চলেছে আপ। গত কয়েকটি নির্বাচনে সব রাজ্যে প্রার্থীও দিচ্ছে তাঁরা। কিন্তু মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে সেই রীতি বদলাচ্ছে।
আসলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দিল্লিতেও ভোট। তার আগে কেজরিওয়াল অন্য রাজ্যে প্রার্থী দিয়ে অহেতুক সময় এবং অর্থব্যয় করতে চাইছেন না। তাছাড়া হরিয়ানার পর এই দুই রাজ্যেও প্রার্থী দিয়ে কোনও সাফল্য না পেলে দিল্লির ভোটের আগে নেতিবাচক বার্তা যাবে। সেটা চাইছেন না আপ সুপ্রিমো। আর জোট শরিকদের হয়ে প্রচারে গেলে ইন্ডিয়া জোটেও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে কেজরিওয়ালের।