ধীমান রায়, কাটোয়া: কাটোয়ায় ‘চায়ে পে চর্চা’ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে একহাত নিলেন অরবিন্দ মেনন (Arvind Menon)। বললেন, “রাজ্যের কারণেই বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত বাংলার মানুষ।” আলোচনা করলেন জে পি নাড্ডার কাটোয়া সফর নিয়েও।
বুধবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচি থেকে রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগে অরবিন্দ মেনন বলেন, “ড্রাইভার ভাল না হলে সেই গাড়িতে উঠতে কেউ ভরসা পান না। তৃণমূল কংগ্রেসের ড্রাইভার পিসি ও ভাইপো। তারা ভাল ড্রাইভার নন। তাই ওই গাড়িতে এখন কেউ উঠতে চায় না। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা সেজন্য আমাদের দলে চলে আসছেন।” পাশাপাশি অভিযোগ করেন, “বাংলার কৃষক, সাধারণ মানুষ কেন্দ্রের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না রাজ্য সরকারের জন্য। কেন্দ্রের অনুদান থেকে কাটমানি নেওয়া হচ্ছে। অথচ বাংলার কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে।” এরপরই অরবিন্দ মেনন জানান, আগামী শনিবার কাটোয়ার মুস্থুলি গ্রামে “শুনো চাষিভাই” কর্মসূচিতে অংশ নেবেন জে পি নাড্ডা (J P Nadda)। আট থেকে দশজন কৃষকের বাড়ি বাড়ি ঘুরে একমুঠো করে শষ্য সংগ্রহ করবেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। জানবেন সমস্যা।
[আরও পড়ুন: ‘হারার ভয়ে ব্রেক ফেল করছে’, সাংবাদিককে ‘চড়’ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ককে খোঁচা দিলীপের]
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ কাটোয়া যান অরবিন্দ মেনন। গোয়েঙ্কা মোড়ে একটি লজে রাতে থাকেন তিনি। বুধবার সকাল ৭ টা নাগাদ দলীয় কর্মীদের সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে সেখান থেকে কাছারিরোড, পুরসভা মোড়, লেলিন সরণি হয়ে তেঁতুলতলায় একটি চায়ের দোকানে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বর্ধমান পূর্বের (গ্রামীণ) সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ, সহ সভাপতি অনিল দত্ত-সহ স্থানীয় নেতারা। এরপর পূর্বস্থলিতে রওনা দেন তিনি। আজ পূর্বস্থলি দক্ষিণ ও মন্তেশ্বর বিধানসভা এলাকায় দলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর।