বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: দেশের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র (Mayor) হিসেবে উঠে এলেন দক্ষিণের বামপন্থী কন্যা। কেরলের এসএফআই (SFI) নেত্রী আর্যা রাজেন্দ্রণ তিরুঅনন্তপুরম পুরসভার মেয়র পদে শপথ নিতে চলেছেন। মাত্র ২১ বছর বয়সেই আর্যার এই কৃতিত্ব গোটা দেশেই বিরল। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও।
বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের কেরল (Karala) রাজ্য কমিটির সদস্য ২১ বছরের আর্যা রাজেন্দ্রণ (Arya Rajendran)। তিনি সিপিএম শাখা সংগঠনেরও সদস্য। কেরলের মুদাভানমুগল ওয়ার্ড থেকে তিরুঅনন্তপুরম পুরসভার লড়াইয়ে সিপিএমের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। বিপক্ষের UDF প্রার্থী শ্রীলেখাকে ২৮৭২ ভোটে হারিয়ে দেন বিএসসি অঙ্ক অনার্সের ছাত্রী আর্যা।
[আরও পড়ুন: কমল সম্পত্তি, বিশ্বের শীর্ষ দশ ধনকুবেরের তালিকায় আর নেই মুকেশ আম্বানির নাম]
এরপর সিপিএম রাজ্য কমিটিই মেয়র পদে তাঁর নাম প্রস্তাব পাঠায়। নতুন দায়িত্ব জানানো হয় সদ্য তরুণী কমরেডকে। সবচেয়ে কম বয়সে মেয়র পদে বসে নতুন ইতিহাসের একেবারে দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে কী প্রতিক্রিয়া আর্যা রাজেন্দ্রণের? সহজ-সরল মেয়ের একটাই কথা, ”দল যে দায়িত্ব দেবে, সেটাই খুব ভালভাবে মনে দিয়ে পালন করার চেষ্টা করব। বাড়তি নজর অবশ্যই থাকবে স্থানীয় মহিলাদের সমস্যা সমাধানে। তাঁদের অসুবিধা দূর করা অগ্রাধিকার।”
[আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক স্বার্থে কৃষকদের ক্ষতি করবেন না’, মেগা শো থেকে বিরোধীদের তুলোধোনা মোদির]
আসলে, বামশাসিত কেরলে পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করতে উদ্যোগী বিজয়নরা, ভিএস-রা। যার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে স্থানীয় স্তরের নির্বাচনগুলিতে বেশিরভাগ নতুন, তরুণ মুখকে দাঁড় করিয়েছে শাসক LDF. এই তালিকায় রয়েছে আর্যার মতো বেশ কয়েকজন। আর্যা এখনও কলেজছাত্রী। সেন্টস কলেজে অঙ্কে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। সেইসঙ্গে বামপন্থী রাজনীতিও করেন পুরোদমে। রাজ্যের নবীন প্রজন্মের বেশ উজ্জ্বল প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আর্যা। তারই পুরস্কার পেলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে স্থানীয় পুরসভার মেয়র পদে উত্তরণ। তবে এ নিয়ে খুব বেশি উচ্ছ্বসিত হতে রাজি নন একুশের তরুণী। বলছেন, এখন দায়িত্ব আরও বেশি। তা ভালভাবে পালন করতে পারা বড় চ্যালেঞ্জ।