সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসের অন্দরের বিক্ষোভ প্রশমিত হওয়ার পথে একমাত্র অন্তরায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)! রাহুল জি-২৩ বা বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার বিপক্ষে নন। বিক্ষুব্ধ নেতাদের দাবিদাওয়ায় শুনতেও রাজি তিনি। কিন্তু সমস্যা হল G-23 গ্রুপের নেতারাই কংগ্রেসের শীর্ষনেতা হিসাবে আর রাহুলকে দেখতে চান না। বরং, তারা চান প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সংসদে কংগ্রেসের দলনেতা হোন। এবং কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে করা হোক। অন্তত এমনটাই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ শিবিরের যে মেজাজ ছিল, তা এখন খানিকটা হলেও প্রশমিত। গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad) এবং সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) মুখোমুখি বৈঠকে সমস্যা অনেকটা মেটার ইঙ্গিত মিলেছে। সরাসরি বিদ্রোহে না গিয়ে দু’পক্ষই সুর নরমে রাজি। কিন্তু সমস্যা হল জি-২৩ অর্থাৎ বিক্ষুব্ধ নেতাদের একটা বড় অংশ চাইছে রাহুল গান্ধী যেভাবে সভাপতি পদে না থেকেও যেভাবে কংগ্রেসের সব সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করছেন সেটা বন্ধ হোক।
[আরও পড়ুন: যোগীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে ‘মেগা ইভেন্ট’ করতে চায় বিজেপি, আমন্ত্রিত অখিলেশ-সোনিয়া]
অন্তত জনা চারেক শীর্ষস্থানীয় G-23 নেতা নাকি রাহুলকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দলের সংসদীয় কমিটির নেতা করার পক্ষে। তাতে দল গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে সভাপতিও করতে পারবে আবার রাহুলের দেখানো পথে সংসদে আন্দোলনও করা যাবে। এক্ষেত্রে বিক্ষুব্ধ নেতারা শচীন পাইলটের (Sachin Pilot) মতো কোনও গ্রহণযোগ্য মুখকে কংগ্রেস সভাপতি করার পক্ষে। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও নাকি কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে আলোচনার সময় এই ধরনের প্রস্তাবই দিয়েছিলেন। যদিও সরকারিভাবে এ নিয়ে কোনওপক্ষই মুখ খোলেনি। ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমেরই দাবি, G-23 নেতাদের সকলে নাকি রাহুল গান্ধীকে পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে নন। তাঁরা আবার চাইছেন রাহুল নিজেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন। কিন্তু সেটা দ্রুত।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনা কর্ণাটকে, বাস উলটে প্রাণ গেল ৮ জনের, জখম আরও ২০]
আসলে G-23 দলের সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে গান্ধীদের মনোপলি শেষ করতে চাইছে। তাঁরা চাইছে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক সম্মিলিত নেতৃত্বে আলোচনার মাধ্যমে। রাজ্য সভাপতি, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বা রাজ্যসভার প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য আলাদা কমিটি গড়া হোক। সেই কমিটিই নিক সব সিদ্ধান্ত। সূত্রের দাবি, এই প্রস্তাবের বিস্তারিত G-23 নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন গান্ধীরা। কংগ্রেসের অন্দরে আশা, গুলাম নবি আজাদ এবং সোনিয়া গান্ধী যখন চেষ্টা করছেন, তখন দ্রুতই সমস্যা মিটবে।