সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের হাতে আসছে অত্যাধুনিক মার্কিন ‘প্রিডেটর’ ড্রোন। মূলত, চিন-পাকিস্তান সীমান্তেই নজরদারী চালাবে এই সশস্ত্র ‘শিকারী’। আর ড্রোন আতঙ্কে এবার নাকি বেজিংয়ের দ্বারস্থ হয়েছে দেউলিয়া ইসলামাবাদ।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চিনের থেকে বেশ কয়েকটি ড্রোন বা ইউএভি ক্রয় করার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান। বর্তমানে পাক ফৌজের হাতে রয়েছে চিনে তৈরি তিনটি কাই হং-৪ ড্রোন। এমনই আরও চারটি চালকবিহীন যান কিনতে আগ্রহী ইসলামাবাদ। প্রতিরক্ষা বিশেজ্ঞদের মতে, মার্কিন প্রিডেটরের আদলেই তৈরি চিনা কাই হং-৪ ড্রোন। তবে এগুলি বিশেষ নির্ভরযোগ্য নয়। যান্ত্রিক গোলযোগের লেগেই থাকে। একইসঙ্গে ১৭ লক্ষ ডলারের এআর-১ ক্ষেপণাস্ত্রও কিনবে পড়শি দেশটি। প্রায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইলগুলি।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সদ্যসমাপ্ত আমেরিকরা সফরে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ড্রোন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রায় ৩০০ কোটি ডলার মূল্যের এই চুক্তি মোতাবেক ভারতীয় নৌসেনার হাতে আসবে ১৫টি এমকিউ৯- সি গার্ডিয়ান ড্রোন। আটটি করে এই ঘাতক হাতিয়ার পাবে সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনা। এর ফলে একদিকে ভারত ও আমেরিকা, দুই দেশের প্রতিরক্ষা-সম্পর্ক যেমন আরও মজবুত হয়েছে, পাশাপাশি আত্মনির্ভরতার নয়া ধাপে পৌঁছল ভারত। নিঃসন্দেহে যা চিন্তার ভাঁজ ফেলবে পাকিস্তান, চিনের মতো দেশের কপালেও।
[আরও পড়ুন: রাশিয়ার ‘সেনা অভ্যুত্থানে’র খবর আগেই পেয়েছিল আমেরিকা! বিদ্রোহের পিছনে কি CIA?]
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে হোয়াইট হাউসে মোদি-বাইডেন (Modi-Biden) যৌথভাবে সীমান্ত-সন্ত্রাস নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। সেই সময়ই দুই রাষ্ট্রনেতা পাকিস্তানকে বার্তা দিয়েছেন, তারা যেন তাদের মাটিতে জঙ্গি ঘাঁটি হতে না দেয়। মার্কিন কংগ্রেসে মোদি যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে নানা প্রসঙ্গের সঙ্গেই পাকিস্তানের প্রসঙ্গও উঠেছিল। তিনি বলেছিলেন, ৯/১১-র মতোই মুম্বইয়ে হওয়া ২৬/১১ হামলা গোটা বিশ্বের আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছিল। পালটা জবাব দিয়েছিল পাকিস্তানও। তারপরই চিনের কাছে হাত পেতেছে দেউলিয়া দেশটি।