সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের জনবহুল আবাসন এলাকায় আছরে পড়ল একের পর এক রুশ বোমা। এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। আহতের সংখ্যা বহু। বুধবার জাপোরিঝজিয়া শহরে আকাশপথে আক্রমণ শানায় রুশ ফৌজ। সেখানকার একাধিক আবাসন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু পালটা মার দিতে ছাড়েনি কিয়েভও। রাশয়ার জ্বালানি কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে ইউক্রেনের সেনা।
এর আগে বহুবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলার অভিযোগ তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি মস্কো। অভিযোগ অস্বীকার করলেও বারবার জনবহুল এলাকাতেই আঘাত হেনেছে তারা। এপি সূত্রে খবর, এদিন দক্ষিণ ইউক্রেনের শহর জাপোরিঝজিয়াতে আছড়ে পড়ে রুশ বোমা। প্রাণ হারান ১৩ জন। আহতের সংখ্যা ৩০। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। এই হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে টেলিগ্রামে জেলেনস্কি বলেন, "এর থেকে নৃশংস আর কিছু হতে পারে না। নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে জেনেও আকাশপথে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।" প্রাণহানির জন্য আজ বৃহস্পতিবার জাপোরিঝজিয়া শহরে একদিনের শোকদিবস ঘোষণা করেছেন সেখানকার গভর্নর ইভান ফেডোরভ।
কিন্তু পিছিয়ে নেই ইউক্রেনের সেনাও। এই হামলার পালটা দিয়ে রাশিয়াতেও আক্রমণ শানিয়েছে কিয়েভ। উল্লেখ্য, দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত কিয়েভ দখল করতে পারেনি রুশ ফৌজ। এদিকে, অস্ত্রের জোগান কমে এলেও পালটা মার দিয়ে রণক্ষেত্রের ছবি বদলে দিয়েছে জেলেনস্কির ‘লিলিপুট’ বাহিনী। গত বছরের অক্টোবরে রাশিয়ার কার্স্কে ঢুকে পড়ে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনা। তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে রুশ ফৌজকে। তাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন। প্রায় ১২ হাজার সেনা পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন সেই ফৌজেরই বেহাল দশা। কয়েকদিন আগেই জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, কার্স্কে উত্তর কোরিয়া ও রুশ সেনা ভয়ংকর মূল্য চোকাচ্ছে। ব্যাপক হারে প্রাণ হারাচ্ছে তাদের সেনা।