সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবারই পরিবারে পুত্রসন্তান আগমনের খবর দিয়েছেন সিধু মুসেওয়ালার বাবা বলকুর সিং। খুদেকে কোলে নিয়ে প্রয়াত বড় ছেলের ছবির পাশে বসে ছবি তুলে শেয়ার করেছিলেন তিনি। যা দেখে পাঞ্জাবি গায়কের ভক্তদের মন্তব্য, “সিধু মুসেওয়ালাই ফিরেছে।” মুসা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যেও ততোধিক উচ্ছ্বাস।
সিধুর হত্যাকাণ্ডের পর বিগত দু বছর ধরে গোটা গ্রাম নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই পরিবারেই ফের পুত্রসন্তান আসায় আনন্দের জোয়ার গ্রামজুড়ে। স্থানীয়রা মিষ্টি বিলি করেই খুশির উদযাপন করছেন। মুসেওয়ালার শুনশান বাড়িতেও নতুন করে আনন্দের রোশনাই। প্রয়াত গায়কের ঠাকুমা, কাকিমা, এমনকী তাঁর বন্ধুবান্ধবরাও লাড্ডু বিলি করছেন খুদের আগমনে। স্থানীয়রাও ভিড় জমিয়েছেন তাঁদের বাড়িতে ৫৮ বছর বয়সে পুত্রশোকে কাতর মা চরণ সিংকে নতুন সন্তানের আগমনে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। বাড়ির গুরুজনরা ‘গিদ্ধা’ পালন করছেন। যা কিনা পরিবারে নতুন সন্তানকে স্বাগত জানানোর রীতি-রেওয়াজ।
মুসা গ্রামেরই এক প্রবীণ বাসিন্দার কথায়, “গত ২ বছর ধরে গ্রামটা যেন ঘুমিয়ে ছিল। শুধু নৈশব্দ্য বিরাজ করত। ওদের পরিবারেও তাই। তবে এবার সেই খুদের আগমনে শোকের কালো ছায়া সরে গিয়ে যেন ফের খুশির হাওয়া গ্রামে। সবাই বলছে, ছোট্ট সিধু এসেছে।”
[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যেই শাহরুখ-সলমনের ঝগড়া, ‘আবার তোমরা…’ ধমক আমিরের! দেখুন ভিডিও]
মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moose Wala)। ২০২২ সালের ২৯ মে দুষ্কৃতীদের একের পর এক গুলিতে প্রাণ হারান পাঞ্জাবি গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা। ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন চরণ কৌর। কিন্তু এবার মুসেওয়ালা দম্পতির কোল আলো করে জন্ম নিল ফের পুত্রসন্তানই। ৫৮ বছর বয়সে মা হলেন সিধু মুসেওয়ালার মা। বংশধর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা পরিবার। সিধুর পর এই ছোট্ট প্রাণই এখন বলকুর সিং এবং চরণ সিংয়ের বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ।
পাঞ্জাবের মানসা জেলার মুসা গ্রামে জন্ম সিধুর। জন্মসূত্রে তাঁর নাম শুভদীপ সিং সিধু। ছোটবেলা থেকেই র্যাপ আর হিপহপ গানের প্রতি টান অনুভব করতেন। পড়াশোনার জন্যই গিয়েছিলেন কানাডা। তার পাশাপাশি গানও চলত। ২০১৭ সালে প্রথম গান ‘জি ওয়াগন’ রিলিজ করেন। ধীরে ধীরে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে যান। নিজের গ্রাম মুসাকে শ্রদ্ধা জানাতেই সিধু পালটে ফেলেছিলেন নাম। হয়েছিলেন সিধু মুসেওয়ালা। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেই ২৮ বছরের যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর আগেই মর্মান্তিক পরিণতি। এবার ছোটা সিধুর আগমনে খুশির হাওয়া মুসা গ্রামে।