সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতায় রাশ টানতে বিল আনছে মোদি সরকার। সূত্রের খবর, ওয়াকফ আইনে অন্তত ৪০টি সংশোধনী আনতে পারে কেন্দ্র। এর বিরুদ্ধে সরব হলেন মিম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি দাবি করলেন, এই সিদ্ধান্ত ধর্মীয় স্বাধীনতা বিরোধী। ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে এবং দেশে আরএসএসের 'হিন্দুত্ব' এজেন্ডা কায়েম করতেই ষড়যন্ত্র করছে গেরুয়া সরকার।
সূত্রের খবর, গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেই ওয়াকফ বোর্ডের আইন সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ৪০টি সংশোধনী নিয়েই কথা হয়েছে। এর মধ্যেই রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের জমি দখলের অধিকার আইনও। বর্তমান আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডের দখল করা সম্পত্তি বা জমিতে কোনরকম সরকারি পর্যালোচনা বা রিভিউ করা যায় না। পর্যালোচনা ছাড়াই ওয়াকফ বোর্ড জমি দখল করতে পারে। কোনও সম্পত্তি নিয়ে ব্যক্তিগত মালিকানা এবং ওয়াকফ বোর্ডের আইনি বিবাদ চললেও তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না সরকার। সূত্রের খবর, সরকার নতুন আইন মারফত ওয়াকফ বোর্ডের একচেটিয়ে অধিকার খর্ব করতে চাইছে।
[আরও পড়ুন: নির্যাতিতার DNA টেস্টের দাবি অখিলেশের, অযোধ্যা গণধর্ষণ কাণ্ডে আরও চাপে সপা]
এই বিষয়ে রবিবার ওয়েইসি বলেন, "এই সংশোধনীগুলি ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা। এই আইনের আসল কারণ ধর্মের স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করা। ওয়াকফ বোর্ডের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিতে চায় মোদি সরকার। এটা ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী।" মিম নেতা অভিযোগ করেন, "আমাদের দেশে এমন অনেক দরগা রয়েছে বিজেপি-আরএসএস দাবি করে সেগুলি দরগা নয়। আসলে বিচার বিভাগের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।"
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: ‘কোনও অতিরিক্ত নিয়োগ হয়নি’, শীর্ষ আদালতে জানাল WBBSE]
প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালে পাশ হয় ওয়াকফ আইন। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইন সংশোধন করে, ওয়াকফ বোর্ডকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালেও একবার ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ওয়াকফ বোর্ডের সারা দেশে ৮.৭ লক্ষেরও বেশি সম্পত্তি রয়েছে, যা ৯.৪ লক্ষ একর জুড়ে বিস্তৃত।