সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্র যদি আইন আনে দুইয়ের বেশি সন্তান নেওয়া যাবে না, তাহলে তিনি তার তীব্র বিরোধিতা করবেন। এমনটাই জানালেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধানের মতে, এই ধরনের কোনও আইন আনলে ভারতও চিনের মতোই ভুল করবে। ২০৩০ সালের মধ্যেই দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেই আশা তাঁর।
ওয়েইসির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কি জননিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কোনও আইনকে সমর্থন করবেন। এপ্রসঙ্গে ওয়েইসির প্রতিক্রিয়া, ”যে ভুল চিন করেছে, তা করা উচিত নয় ভারতের। আমি দুই সন্তান আইনকে সমর্থন করব না। মোদি সরকারও এমনটাই জানিয়েছে (যে তারা এমন কোনও আইন আনার কথা ভাবছে না)। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে সংসদে দাঁড়িয়ে এমন কথা বলেছিলেন।”
[আরও পড়ুন: কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর ৩৫০০ কিমি ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় অন্য বিরোধীদেরও চাইছে কংগ্রেস]
দেশের বাড়তে থাকা জনসংখ্যা নিয়ে ওয়েইসির বক্তব্য, ”দেশে সার্বিক জন্মহার কমছে। ২০৩০ সালের মধ্যেই জনসংখ্যায় স্থিতাবস্থা আসবে।” সেই সঙ্গে মোহন ভাগবতকে কটাক্ষ করে ওয়েইসি বলেন, জনসংখ্যার কথা বলতে গেলেই একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধেই ঘৃণা ছড়ান আরএসএস প্রধান। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”নিয়ম করে রোজ জনসংখ্যা নিয়ে কথা বলতে গেলেই আপনি একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধেই ঘৃণা ছড়ান। তার চেয়ে এটা বলুন না গত আট বছরে মোদি সরকার যুব সম্প্রদায়ের জন্য কী করেছে। বেকারত্ব একটা জ্বলন্ত ইস্যু। ভারতে বহু ধর্ম রয়েছে। কিন্তু আরএসএস চায় দেশে একটা ধর্ম, একটা সংস্কৃতি, একটি ভাষাই থাকবে। কিন্তু এটা হবে না। কারণ ভারত বহু সংস্কৃতির দেশ।”
কয়েক দিন আগেই একই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন ওয়েইসি। তাঁর দাবি ছিল, মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি গর্ভনিরোধকের ব্যবহার করেন। ফের এই বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি। আসলে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ইস্যুতে নাম না করে মুসলিমদের খোঁচা দিয়েছিলেন। সেই কারণেই বারবার আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা যাচ্ছে ওয়েইসিকে।