শেখর চন্দ, আসানসোল: লক্ষ্মীপুজোর (Laxmi Puja) পরই অন্নকূট উৎসবে মেতে উঠল আসানসোলের গরাই পরিবার। ৫৬ রকমের ভোগ নিবেদন করা হল পুজোয়। অন্নভোগের সঙ্গে ছিল মিষ্টান্নভোগ, খেচরান্ন ভোগ, পায়েসভোগ, পোলাওভোগ। এই আয়োজনে শামিল হলেন এলাকাবাসীরা।
আসানসোলের (Asansol) সব থেকে দীর্ঘ ও ব্যস্ততম রাস্তার নাম এসবি গরাই রোড। গড়াই বাড়ির কর্তা শশীভূষণের নামেই এই রাস্তা। শশীভূষণের ছেলে ষষ্ঠীনারায়ণ গড়াই ছিলেন আসানসোলের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজ হাসপাতালের জন্য জমি দান করেছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পরর্বতী সময় রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ডাক্তার সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ থেকে প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু ও তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর বিধানচন্দ্র রায়কে একাধিক বিপর্যয়ের জন্য ততকালীন সময় ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান দিয়েছিলেন। সেই গড়াই বাড়ির লক্ষ্মীপূজোর জাঁকজমকই আলাদা।
[আরও পড়ুন: দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে রবিবারই উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী]
ষষ্ঠীনারায়ণ গড়াইয়ের চতুর্থ সন্তান সোমনাথ গরাই বলেন, “১০৮ রকমের মিষ্টি ভোগ দেওয়াই রীতি। বৃহস্পতিবার হল অন্নকূট উৎসব। ৫৬ রকমের সবজি দিয়ে তৈরি হয়েছে লক্ষ্মীর জন্য ভোগ। পরে সেই অন্ন ভোগ বিতরণ করা হল হাজারও মানুষকে।” জানা গিয়েছে, শুক্রবার হবে দরিদ্র নারায়ণ সেবা। পরিবারের গৃহবধূ সোনালিকা গড়াই বলেন, “অন্নকূট ভোগে ৫৬ রকমের ব্যঞ্জনের মধ্যে রয়েছে ৪ রকম চাসনি। ১২ রকমের ভাজা। কাঁসার থালে সাজানো ছিল একমন চালের ভাত। বিভিন্ন ব্যঞ্জন দিয়ে সাজানো হয়েছিল ভোগ। ১০৮ রকমের মিষ্টি দিয়ে সাজানো ১০৮ টি থালার মধ্যে ৫ টিতে ছিল লাড্ডু। যা ৫ ভাইয়ের নামে নিবেদন করা হয়।”
উল্লেখ্য, আসানসোলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী প্রয়াত ষষ্ঠীনারায়ণ গড়াই ও তাঁর স্ত্রী সুধারাণী পারিবারিক লক্ষ্মীপুজোয় প্রথম এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন। তা প্রায় বছর ৫৫ আগে। তারপর থেকে উত্তরসূরিরা সেই প্রথা অনুসরণ করে পুজো করে আসাছেন। তবে করোনার কারণে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।