শেখর চন্দ্র, আসানসোল: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ পেয়ে আসানসোলের RSS কার্যালয়ে এবার নোটিস পাঠাল আসানসোল পুরনিগম। একাধিক নথি চাওয়া হয়েছে 'সুদর্শন ভবন' নামে ওই বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে। সাতদিনের মধ্যে সেসব নথি পুরনিগমে জমা না পড়লে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। বিল্ডিং প্ল্যান এবং হোল্ডিং ট্যাক্সের নথি চাওয়া হয়েছে। মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, সাতদিনের কাগজ দেখাতে না পারলে ভেঙে ফেলা হবে ওই বিল্ডিং।
'সুদর্শন নিবাস' এ পাঠানো আসানসোল পুরনিগমের নোটিস।
বৃহস্পতিবার নবান্নের (Nabanna) সভাঘরে হকারদের নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেছিলেন, "মলয় ঘটক আমাকে জানিয়েছেন, আসানসোলে পুকুর ভরাট করে তিনতলা আরএসএস ভবন তৈরি করা হয়েছে। ওর রেকর্ড দেখতে হবে ভালো করে। যদি জলাজমি বুজিয়ে বাড়ি তৈরি হয়, তাহলে তা ভাঙা হচ্ছে না কেন?" মুখ্যমন্ত্রীর সেই বার্তার পর নড়েচড়ে বসে আসানসোল পুরনিগম এবং জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকেলেই সেই আরএসএস (RSS) ভবন সরেজমিনে পরিদর্শন করেছিলেন পুর ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। আর শুক্রবার আসানসোল (Asansol) পৌরনিগমের তরফে এই ভবনের প্রয়োজনীয় নথি চেয়ে নোটিস পাঠানো হল।
[আরও পড়ুন: ‘আমার ব্যাগে বোমা আছে’, কলকাতা বিমানবন্দরে দাবি যাত্রীর, তীব্র আতঙ্ক]
আসানসোল পুরনিগমের তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন আরএসএসের আইনী উপদেষ্টা পীযূষকান্তি গোস্বামী। তাঁর দাবি, এখানে কোনও জলাজমি ছিল না। ২০০৬ সালের সময় তারা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, এখানে হয়তো খেলার মাঠ ছিল। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি (BJP) বিধায়ক তথা বিজেপি রাজ্য সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul) অভিযোগ করে বলেন, ''আসানসোল রাহা লেন এলাকায় এবং আসানসোল পোস্ট অফিসের কাছে জিটি রোডে ফুটপাত দখল করে দুটি বিশাল তৃণমূল পার্টি অফিস বা কার্যালয় তৈরি হয়েছে। হিন্দুস্তান কেবলস থেকে চিত্তরঞ্জন যাওয়ার পথে দুপাশে তৃণমূলের কর্মীরা জায়গা দখল করেছে। ক্লাব করেছে। এগুলো কি মেয়র সাহেব মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন? আরএসএস নিশ্চয়ই তাদের বৈধ কাগজ সময়মতো জমা দেবে। কিন্তু তৃণমূলের তরফ থেকে যে অনৈতিক কাজগুলো করা হয়েছে, ফুটপাত দখল করা হয়েছে সে খবরও মুখ্যমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পর্যন্ত পৌঁছনো উচিত।'' আরএসএসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কাগজপত্র জমা করার জন্য যে সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়। ১৫ দিন সময় চাই।