সোমনাথ রায়, উদয়পুর: কীসের এত আলোচনা? কোথায় ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ? কীসের ‘নব সংকল্প’? কংগ্রেস আছে কংগ্রেসেই (Congress)। যেখানে বিজেপি (BJP) বা আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াই করার থেকেও বেশি যুদ্ধ হয় দলের অন্দরে।
কংগ্রেসের নবসংকল্প শিবিরের কাছেই ফাঁকা মাঠে তৈরি হয়েছে মিডিয়া সেন্টার। এদিন সকাল থেকেই খবর আসতে থাকল বেলা তিনটে নাগাদ সেখানে আসতে পারেন অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। হঠাৎ তার মিনিট কুড়ি আগে সেখানে চলে আসেন শচীন পাইলট (Sachin Pilot)। যাঁর সঙ্গে আবার গেহলটের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। মিডিয়া সেন্টারে দীর্ঘক্ষণ থাকলেন শচীন। প্রতিটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেই কথা বললেন আলাদা আলাদা করে।
[আরও পড়ুন: কাটরার বাসে অগ্নিকাণ্ড আসলে নাশকতা! চিঠি লিখে দায় নিল অনামী জেহাদি সংগঠন]
শচীন বললেন, “যুবদের সংরক্ষণ নিয়ে রোডম্যাপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমাদের উচিত এখন সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করা।” শচীন যখন ঘুরে বেড়াচ্ছেন মিডিয়া সেন্টারের এদিক ওদিক উপস্থিত পুলিশকর্মীদের কাছে গল্পের ছলে জানতে চাওয়া হল, মুখ্যমন্ত্রী কখন আসবেন? শচীনের দিকে ইশারা করে উত্তর, “উনি থাকতে সিএম এখানে আসবেন বলে মনে হয় আপনার?” ছোট্ট একটা লাইনই যেন বলে গেল কত কিছু। অবশেষে গেহলট এলেন সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। বললেন অনেক কিছু। কিন্তু রাজস্থানের চাঁদিফাটা গরমে এড়িয়ে গেলেন শচীনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের শৈত্যপ্রসঙ্গ। এটা স্পষ্ট, নবসংকল্প শিবিরে অভ্যন্তরীণ কলহ মেটার কোনও লক্ষণ নেই।
[আরও পড়ুন: ২০২৪ লোকসভায় গান্ধী পরিবার থেকে প্রার্থী শুধু রাহুল! ‘অ-গান্ধী’ হিসাবে লড়তে পারেন প্রিয়াঙ্কা]
যদিও গতকালই দলের ভুল শুধরে কংগ্রেসের রাজনৈতিক অভিমুখ বদলের কথা বলেছিলেন পি চিদম্বরম। দেশের অর্থনীতির এই খারাপ পরিস্থিতিতেও রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠছে ধর্ম-জাত, মন্দির-মসজিদ। এবার রাজনীতির এই চলতি অভিমুখ বদলাতে চায় কংগ্রেস (Congress), জানান তিনি। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের তিন দিনের ‘চিন্তন শিবিরে’ সিদ্ধান্ত হয়েছে, দেশের অর্থনীতির ভেঙে পড়া হালকেই এবার ফোকাস করবে দল। এই লাইনেই চেপে ধরা হবে দিল্লির বিজেপি (BJP) সরকারকে। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলিকে এতদিন উত্থাপন করতে না পারার ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করেছে রাহুল-সোনিয়ার দল।