সুকুমার সরকার, ঢাকা: রাতের বেলা চুপিসাড়ে বিধবার ঘরে ঢুকে বিপাকে পড়লেন বাংলাদেশের (Bangladesh) পুলিশকর্তা। তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে গণপ্রহার দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তাকে পুলিশ আটক করে, পাঠানো হয়েছে পুলিশ লাইনসে। ঘটনার জেরে বেশ শোরগোল পড়ায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
পরকীয়া সম্পর্কের জেরে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) আটক করে মারধরের ঘটনা ঘিরে শুক্রবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা পটুয়াখালির বাউফল। তবে অভিযোগ, ওই এএসআই শাসকদলের এক প্রভাবশালী নেতাকে ফোন করে সাহায্য চান। এসব খবর পেয়ে রাতেই তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার তাকে বদলি করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ফাঁস চিনা প্রতারণা চক্র, পুলিশের জালে চিনের দুই নাগরিক]
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বাউফল থানার এএসআই মহম্মদ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে এক বিধবার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার রাতে ওই নারীর ঘরে যান রফিকুল। স্থানীয়রা টের পেয়ে রাত সাড়ে ন’টার দিকে ওই নারীর ঘর থেকে বের হওয়ার সময় রফিকুলকে ধরে মারধর করে একটি ঘরে আটকে রাখেন। ঘটনার সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। উপস্থিত লোকজনের পা ধরে ক্ষমা চান। তাতেও অবশ্য রেহাই মেলেনি। এএসআইকে ধরে চলে বেদম গণপ্রহার (Lynching)।
[আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে ইলিশ শিকার, বাংলাদেশে গ্রেপ্তার শতাধিক মৎস্যজীবী]
তবে একটা সময় পর রফিকুল ইসলাম দেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের প্রভাবশালী এক নেতাকে ডাকেন। ওই আওয়ামি লিগ নেতার নির্দেশে ছাত্রলিগের তিন নেতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাঁরা সবাইকে বের করে দিয়ে ওই এএসআইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর রফাদফা শেষে তাঁরা রফিকুল ইসলামের পক্ষে অবস্থান নেন। এরই মধ্যে বাউফল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ‘রফিকুলকে বদলি করে জেলা পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়েছে।’ তবে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার ব্যাপারে আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।