সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার ভোরবেলা কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এএসআই সমীক্ষা শুরু হল জ্ঞানবাপীতে (Gyanvapi)। বৃহস্পতিবারই এলাহাবাদ হাই কোর্ট রায় দিয়েছে, সুবিচারের স্বার্থেই জ্ঞানবাপীতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালানো দরকার। যদিও এই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। শুনানি শুরু হওয়ার আগেই সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)।
শুক্রবার ভোরবেলা থেকেই জ্ঞানবাপী এলাকায় বিশাল পরিমাণ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। সকাল সাতটা নাগাদ সেখানে পৌঁছন এএসআই আধিকারিকরা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই জ্ঞানবাপীতে শুরু হয় বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার কাজ। সেখানে উপস্থিত হিন্দু পক্ষের আইনজীবী সুধীর ত্রিপাঠী বলেন, “কতদিন ধরে এই সমীক্ষা চলবে সেটা তো এএসআইয়ের কাজের উপর নির্ভর করে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের সমীক্ষা করতে সাত-আট মাস সময় লেগেছিল।”
[আরও পড়ুন: লরির ধাক্কায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ও বাবার মৃত্যু, এলাকাবাসীর বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ বেহালা, জ্বলল পুলিশের গাড়ি]
প্রসঙ্গত, জ্ঞানবাপীতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালালে মসজিদ ভেঙে পড়তে পারে এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে সেই দাবি খারিজ হয়ে গিয়েছে এলাহাবাদ হাই কোর্টে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, বারাণসীর জেলা আদালত বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার পিছনে উপযুক্ত যুক্তি দিয়েছে। সুবিচারের স্বার্থে জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার প্রয়োজন। রায়দানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
এলাহাবাদ হাই কোর্টের (Allahabad High Court) রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গিয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ দ্রুত শুনানির আরজি জানিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, জ্ঞানবাপীতে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হতে পারে সেই আশঙ্কায় ওই এলাকায় কড়া নিরাপত্তা মোতায়েনের দাবিতেও মামলা দায়ের হয়েছে বারাণসীর জেলা আদালতে।