পাকিস্তান- ১৬২ (বাবর আজম ৪৭, ভুবনেশ্বর কুমার ৩/১৫)
ভারত- ১৬৪/২ (রোহিত শর্মা ৫২)
৮ উইকেটে জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলে ফিরে আসা। প্রতিপক্ষকে দুরমুশ করার আত্মবিশ্বাস। যা বুধবার টিম ইন্ডিয়ার খেলায় দেখল দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। মরুশহরে ব্যাটে-বলে বাজিমাত করলেন রোহিত-ভুবনেশ্বররা। গত বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে হারের মধুর বদলা নিয়ে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল ভারত। হংকং ম্যাচে বিশ্রী পারফরম্যান্সের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের খুনে মেজাজে দেখা গেল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। গত ম্যাচের দলে দুটো পরিবর্তন করেই কেল্লা ফতে। ভারত হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতল ৮ উইকেটে। আর জয়ের সঙ্গে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে গেল টিম ইন্ডিয়া।
[ক্রীড়াসূচিতে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে ভারত, ম্যাচ শুরুর আগে বিস্ফোরক সরফরাজ]
এশিয়া কাপ অভিযানের প্রথম ম্যাচে আশাতীত পারফরম্যান্স দেখা যায়নি মেন ইন ব্ল-র খেলায়। প্রতিযোগিতামূলক হোক বা যে কোনও ফরম্যাট, ক্রিকেটে পারফরম্যান্সই শেষ কথা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে হংকং ম্যাচের পরেরদিনই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের রণকৌশল কী হতে চলেছে তা নিয়ে বিস্তর মাথা ঘামাচ্ছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। বুধবার জশপ্রীত বুমরাহ ও হার্দিক পাণ্ডিয়াকে প্রথম একাদশে রাখা হয়। বাদ পড়েন হংকংয়ের বিরুদ্ধে তিন উইকেট পাওয়া খলিল আহমেদ ও শার্দূল ঠাকুর। আর এই পরিবর্তনকেই টার্নিং পয়েন্ট মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। কিন্তু বড় রান তোলা তো দূর, শুরুতেই ধাক্কা খায় পাক ব্যাটিং লাইনআপ। দুই অপেনারকে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠান ভুবনেশ্বর কুমার। গত ম্যাচের ব্যর্থতা থেকে ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে এদিন অনবদ্য বোলিং করলেন তিনি। নিলেন তিনটি মূল্যবান উইকেট। তবে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে নজর কেড়েছেন কেদার যাদব। পার্টটাইম বোলার হলে কী হবে, এদিন তিন-তিনটি উইকেট নিয়ে পাক ব্যাটিংয়ে ধস নামান এই অলরাউন্ডার। ভুবি-কেদারদের দাপটে মাত্র ১৬২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। বাবর আজম (৪৭) ও বহুদিন পর শোয়েব মালিক (৪৩) ছাড়া বলার মতো রান পাকিস্তানের কেউই পাননি।
[ধাওয়ানের সেঞ্চুরিই প্রাপ্তি, হতশ্রী বোলিংয়ে কষ্টার্জিত জয় ভারতের]
৫০ ওভারে ১৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা ভারতের কাছে যে খুব কষ্টকর হবে না তা বোঝাই যাচ্ছিল। প্রত্যাশিতভাবেই শুরু করলেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছিলেন ধাওয়ান। তা এদিন ধরা পড়ল তাঁর ব্যাটেও। তবে হিটম্যান রোহিত আজ বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন চালিয়ে খেলে করলেন ৫২ রান। শাদাব খানের বলে যখন আউট হলেন তখন জয় মাত্র কয়েক রান দূরে। স্কোরবোর্ডকে আরও একটু ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে গিয়ে আউট হলেন ধাওয়ান (৪৬)। ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হওয়ার দৌড়ে চলে এলেন তিনি। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করলেন রায়ুডু (৩১) ও কার্তিক (৩১)। মাত্র ২৯ ওভারেই জয়ের রান তুলে নেয় ভারত।
এদিন সত্যিকারেই চ্যাম্পিয়নের মতো খেলল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। আমিরশাহি বলতে গেলে পাকিস্তানের ঘরের মতোই। আইসিসি-র নিষেধাজ্ঞার পর যাবতীয় ম্যাচ এই দেশেই খেলে পাকিস্তান। সুতরাং সেই অর্থে ঘরের মাঠে ভারতের কাছে এমন ল্যাজে-গোবরে হার সমর্থকরা কতটা মেনে নেবেন সেটাই প্রশ্নের। এদিনের পারফরম্যান্স বাকি টুর্নামেন্টে বজায় রাখলে ভারতেকে আর আটকায় কে! তখন এটাই প্রমাণ হবে, বিরাট কোহলি ছাড়াও ভারত এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টে জেতার ক্ষমতা রাখে।
[অক্সফোর্ডের মতো যাদবপুরের ডি-লিট সম্মানও ফেরালেন শচীন]
The post চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হারের মধুর প্রতিশোধ, এশিয়া কাপে পাক-বধ ভারতের appeared first on Sangbad Pratidin.