সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টের পর আপাতত সুস্থ শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। আনন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। চিকিৎসক শুভানন রায়ের তত্ত্বাবধানে ওই হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র।
[আরও পড়ুন: কালীঘাটে সিবিআই আসতে পারে, তাই ভয় পাচ্ছেন মমতা: দিলীপ ঘোষ]
গত রবিবার সকালে বুকে যন্ত্রণা হচ্ছে বলেই জানান শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে ওই শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলেই জানান চিকিৎসকেরা। বিশেষ উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেও জানান তাঁরা। সোমবার বাড়িও ফিরে আসেন বর্ষীয়ান বামনেতা। তবে তাঁকে কলকাতার নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেই মতো ওইদিন রাতেই পদাতিক এক্সপ্রেসে চড়ে সস্ত্রীক কলকাতা রওনা হন বামনেতা। সঙ্গে ছিলেন সিপিএম জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার। মঙ্গলবার তাঁকে ভরতি করা হয় আনন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে৷ সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন অশোক ভট্টাচার্য। চিকিৎসক শুভানন রায় জানান, অসুস্থ মেয়রের হৃদযন্ত্রের দুটি আর্টারির প্রায় ৮৫ শতাংশ ব্লক হয়ে গিয়েছে। তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্ট করে স্টেন্ট প্রতিস্থাপন করা হয়৷ তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। খুব তাড়াতাড়ি পুরোপুরি ওই বামনেতা সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা।
অল্প বয়সেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি অশোক ভট্টাচার্যের৷ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জমানায় মন্ত্রীও ছিলেন তিনি৷ শক্ত হাতে সামলেছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব৷ বর্তমানে বামেদের ভরাডুবির সময়েও শিলিগুড়ি পুরসভার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সেই তিনিই৷ তাঁর দলের কর্মীদের মতে, কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করে দলকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে শিলিগুড়িতে প্রায় অক্সিজেনের মতো কাজ করেছেন অশোক ভট্টাচার্য৷
[আরও পড়ুন: ‘জেলে গেলে ভাবব স্বাধীনতার জন্য লড়ছি’, বিজেপিকে তোপ মমতার]
শাসকদল তৃণমূলকে টেক্কা দিতে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদিকে বলো’র অনুকরণে ‘মেয়রকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন বামফ্রন্ট শাসিত শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। পুর এলাকার যাবতীয় সমস্যা, অভাব, অভিযোগ জানাতে ‘মেয়রকে বলো’ কর্মসূচি চালু করেছিলেন বামনেতা। এই কর্মসূচিতে সাড়াও মিলছিল ভালই৷ অশোক ভট্টাচার্যের অসুস্থতায় বাম কর্মী-সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ৷