সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজোটে ৯টি সংগঠনের ডাকে কলকাতার (Kolkata) রাস্তায় মহামিছিল। সপ্তাহের প্রথম দিন শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বিশাল মিছিলে প্রতিবাদের শক্তি কতটা বাড়ল, জানা নেই। তবে সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে শহরবাসী চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়লেন, তা বলাই বাহুল্য। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কয়েকমাস ধরেই প্রতিবাদের আঁচে ফুটছে গোটা রাজ্য। দীর্ঘদিন ধরে অনশন, আন্দোলনে শামিল হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী। অন্যদিকে, এই সংক্রান্ত একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন। এই অবস্থায় এবার অনশনের রাস্তা থেকে খানিকটা সরে এবার পথে নামলেন তাঁরা। আর তাঁদের এই মহামিছিলে শিয়ালদহ, ধর্মতলা চত্বরে যানজট তৈরি হয়। রাস্তায় নেমে দুর্ভোগ পোহালেন সাধারণ মানুষ।
শুধু মিছিলই নয়, নিজেদের দাবি আরও প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পথনাটক করেন তাঁরা। রাস্তায় শুয়ে পড়েও প্রতিবাদ করেন। মিছিলকারীদের হাতে ছিল দীর্ঘ ব্যানার। তাতে দুর্নীতি বিরোধী বার্তা তুলে ধরা হয়েছে। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে মিছিলে শামিল হন সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার-সহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও। তবে এদিন ৯ সংগঠনের মহাজোটে শামিল হয়নি প্রতিবাদীদের দুটি সংগঠন। এসএসসি (SSC) যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার (SLST)তরফে সোমবারের মিছিল-সহ সরকার বিরোধী কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁরা সরকারের উপর ভরসা রেখে চলতে চান বলে জানিয়েছেন।
[আরও পডুন: অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা যাবে, জানাল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট]
এদিকে চাকরিপ্রার্থীদের এই মহামিছিল নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC)। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) দাবি, যারা মিছিল করছেন, জোট করছেন, সব অর্থহীন। চাকরি সুনিশ্চিত করতে ব্যবস্থা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আরও অভিযোগ, ”এখানে কিছু অংশকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক কাজ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক কিছু নেতা এই মিছিল করাচ্ছেন সুপরিকল্পিতভাবে। কিন্তু এদের যন্ত্রণাকে বিপথে চালিত করছে। ত্রিপুরায় অনেক শিক্ষক বসে আছেন। বিজেপি সিপিএম বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।” চাকরিপ্রার্থীদের কাছে কুণাল ঘোষের আবেদন, এ ধরনের মিছিলে অংশ নেবেন না।