সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাতারাতি হয়ে ওঠেন ‘ভগবান’। হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ‘মসিহা’। এহেন বিচারপতির আচমকা ইস্তফার সিদ্ধান্তে হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতী।
রবিবাসরীয় দুপুরে আচমকাই বোমা ফাটান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়(Abhijit Ganguly)। লোকসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় চমক দিয়ে অবসরের সিদ্ধান্ত জানান। সোমবারই এজলাসে শেষদিন তাঁর। মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেবেন রাষ্ট্রপতির কাছে। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে একথা শুনে ভেঙে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এক চাকরিপ্রার্থীর আক্ষেপের সুরে জানান, সুপার নিউমেরিক পোস্টে নিয়োগের পরিকল্পনা কার মস্তিষ্কপ্রসূত, তা খোঁজার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার সুরাহা হওয়ার আগেই বিচারপতির ইস্তফার সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না বলেই জানান ওই চাকরিপ্রার্থী। আবার কেউ কেউ বলছেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় না থাকলে চাকরিই পেতেন না। কিন্তু যাঁরা এখনও চাকরি পাননি, যাঁদের আন্দোলন এখনও চলছে, তাঁদের ভবিষ্যত কী তা নিয়ে ধন্দে আন্দোলনকারীদের একাংশ।
[আরও পড়ুন: ‘মোদিজি ক্ষমা করলেন না’, লোকসভায় টিকিট না পেয়ে অভিমানী সাধ্বী প্রজ্ঞা]
বলে রাখা ভালো, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তৃণমূল বিরোধী বলেই বরাবর পরিচিত। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সুসম্পর্কই রয়েছে। তিনিই প্রথম চ্যালেঞ্জের সুরে বিচারপতিকে অবসর গ্রহণ করে ভোটযুদ্ধে নামার কথা বলেছিলেন। রবিবার নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে বিচারপতি সেকথা উল্লেখও করেছেন। বিচারপতির বামমনস্কতা অনেক সময়েই প্রকাশ্যে এসেছে। এছাড়া বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর শিষ্য হিসেবে তাঁর প্রভাবও রয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর।
এবার তিনি বিচারপতির পদ থেকে অবসর ঘোষণা করে রাজনীতির ময়দানে নামার কথা বলায় সর্বস্তরেই জল্পনা তুঙ্গে যে তিনি লোকসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন। নির্বাচনে তমলুক থেকে প্রার্থী হচ্ছেন বলেই জল্পনা তুঙ্গে। অর্থাৎ রাজনীতির ময়দানের এবার আরেক প্রভাবশালী নতুন প্রতিপক্ষ। আর তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে প্রায় সব রাজনৈতিক দল।