মণিশংকর চৌধুরী: এবার অসমেও (Assam) লাভ জেহাদ (Love Jihad)! টার্গেট হিন্দু বাঙালি তরুণীরা, অভিযোগ এমনটাই। সোমবার রাজ্যের গোলাঘাট শহরে নৃশংস হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়িকে খুনের পর ন’মাস বয়সি ছেলেকে কোলে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন নাজিবুর রহমান বোরা নামের এক যুবক! পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে হত্যাকাণ্ড। যদিও এই ঘটনায় লাভ জেহাদের অভিযোগ জোরালো হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে গতকালই জানা গিয়েছিল, বছর পঁচিশের নাজিবুর হত্যা করেছেন স্ত্রী সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ, শ্বশুর সঞ্জীব ঘোষ এবং শাশুড়ি জুনু ঘোষকে। ঘটনাটি ঘটে গোলাঘাট শহরের হিন্দি স্কুল রোড এলাকায়। অভিযুক্তের শ্বশুরবাড়িতে। গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন যুবক। এর পরই তিনি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড চালান বলে অভিযোগ। কিন্তু কেন এই হত্যাকাণ্ড?
[আরও পড়ুন: সংসদের বাইরে কাকের ঠোক্কর আপ নেতা রাঘব চড্ডাকে, বিজেপি বলল, ‘ঝুট বোলে…’]
পুলিশ এখনও সেই বিষয়ে নিশ্চিত না হলেও হিন্দু বাঙালি মেয়েদের বিরুদ্ধে লাভ জেহাদের অভিযোগ তুলেছে ‘সারা অসম বাঙালি যুবছাত্র ফেডারেশন’। সংগঠনের সভাপতি দীপক দে একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, লকডাউন পর্বে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল নাজিবুর-সঙ্ঘমিত্রার। তবে নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখেছিলেন নজিবুর। এই ঘটনা আসলে লাভ জেহাদ। অসমে পরিকল্পনামাফিক কাজ করছে লাভ জেহাদের একটি চক্র। এর নেপথ্যে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে।
[আরও পড়ুন: কুকুরের কামড় খেয়ে ৪০ জনকে কামড়ে দিল আড়াই বছরের শিশু! চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশে]
দীপক বলেন, “অসমে হিন্দু বাঙালি মেয়েদের ফাঁসানো হচ্ছে। হিন্দু নাম ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করছে একদল যুবক। এর পর ভালবাসার নামে ব্ল্যাকমেল করছে। বিয়ে করতে বাধ্য করছে।” তিনি আরও বলেন, “ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে এরা। এর পিছনে শত্রুরাষ্ট্রের মদত থাকতে পারে।” দীপক দাবি করেছেন, দুষ্কৃতীদের দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে। লাভ জেহাদিরা অনেকেই মাদক চক্রের সঙ্গেও যুক্ত। “কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ, কঠোর পদক্ষেপ করুন। এমন ব্যবস্থা করুন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ হিন্দু মেয়েদের পরিচয় গোপন করে ফাঁসাতে না পারে।”
এই প্রসঙ্গে অসমের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ ফুকন বলেন, “এটা লাভ জেহাদের ঘটনা। লকডাউনের সময় ওই মহিলাকে ভুল পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই যুবক। পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে এসে একজন কাজির মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। তবে সেই বিয়ে অসিদ্ধ। কারণ, মেয়েটি হিন্দু। তাই স্প্যাশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়েটি হয়নি। স্ত্রীকে মাদকাসক্ত করেছিল অভিযুক্ত। এনিয়ে আমাদের সরকার কড়া পদক্ষেপ করছে।”