সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মাসখানেক আগে। এর মধ্যেই বিতর্কে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের অভিবাসী মুসলিমদের সঠিকভাবে পরিবার পরিকল্পনা করতেই হবে। এ বিষয়ে তাঁর সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কাজ করতে চায়। হিমন্তর বক্তব্য, মুসলিমরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করলে কামাখ্যা মন্দিরের জমিও জবরদখল হয়ে যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে অসমের অন্যতম বিরোধী দল AIUDF। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী এভাবে নির্দিষ্ট একটি ধর্মকে টার্গেট করতে পারেন না।
প্রসঙ্গত, সেই ২০১৯ সালেই অসম সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন পাশ করায়। যাতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের পর যে সমস্ত দম্পতির দুইয়ের বেশি সন্তান থাকবে তাদের সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, এখন যারা সরকারি চাকরি করছেন, তাদেরও খেয়াল রাখতে হবে যাতে দুইয়ের বেশি সন্তান না হয়। অন্যথা হলে, তাঁদেরও চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়তে পারে। সেসময় অসমের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সর্বানন্দ সোনওয়াল। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত সেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি পেতেই সেই দুই সন্তান নীতি আরও ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হিমন্ত। তিনি বিশেষভাবে কাজ করতে চান অভিবাসী মুসলিমদের নিয়ে।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে বৈঠক মোদি-যোগীর, ‘মিশন উত্তরপ্রদেশ’ নিয়ে তৈরি ‘ব্লু প্রিন্ট’!]
অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য,”জনসংখ্যার বিস্ফোরণ রুখতে আমরা সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিয়ে কাজ করতে চাই। দারিদ্র, জবরদখলের মতো সামাজিক সমস্যার মূলে এই জনসংখ্যা। অভিবাসী মুসলিমরা (Muslim) যদি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সঠিক পরিবার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারি। এটা ওদের কাছে আমার অনুরোধ।” হিমন্ত আরও বলেন,”যেভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে মানুষের থাকার জায়গার সংকট তৈরি হবে, বাসস্থানের জন্য লড়াই শুরু হবে। আর কোনও নির্বাচিত সরকার মন্দির বা বনভূমিতে মানুষ থাকার অনুমতি দিতে পারে না।” অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে AIUDF নেতা আইনুল ইসলাম বলছেন,”জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিলের আসল উদ্দেশ্য থেকে সরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক উদ্দেশে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করা হচ্ছে।”