সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাল্যবিবাহ রুখে, পড়াশোনা শিখে স্বনির্ভর হতে মেয়েদের উৎসাহ জুগিয়েছে বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্প। বিশ্বের দরবারেও এই প্রকল্প প্রশংসিত হয়েছে। এবার সেই রকম প্রকল্প অসমেও চালু করতে চলেছেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বুধবার নয়া প্রকল্প 'নিযুত ময়না'র ঘোষণা করে তিনি জানিয়েছেন, বাল্যবিবাহ রুখতেই এই পদক্ষেপ করতে চলেছে সরকার।
জানা গিয়েছে, মহিলা পড়ুয়াদের হাতে মাসিক স্টাইপেন্ড হিসাবে টাকা তুলে দেওয়া হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। একাদশ শ্রেণি থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়ুয়াদের আনা হবে এই প্রকল্পের আওতায়। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য মাসিক ১ হাজার টাকা, কলেজ পড়ুয়াদের জন্য ১২৫০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের জন্য মাসিক ২৫০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এই প্রকল্পে। হিমন্ত জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে অসমের (Assam) ১০ লক্ষ ছাত্রী উপকৃত হবেন। মোট ১৫০০কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এই প্রকল্পে।
[আরও পড়ুন: সীমান্তে আগ্রাসী লালফৌজ! সেনাপ্রধান পদে অভিজ্ঞ দ্বিবেদী আসলে কৌশলী চাল ভারতের]
কন্যাশ্রী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে পারিবারিক আয়ের উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু অসমের এই প্রকল্পের আওতায় পড়বেন সকল ছাত্রীরাই। তবে বিবাহিত পড়ুয়ারা এই সুবিধা পাবেন না। এছাড়াও মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কের কন্যা এবং বেসরকারি কলেজের ছাত্রীদেরও এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে না। প্রত্যেক বছরের জুন এবং জুলাই মাসে বন্ধ থাকবে এই স্টাইপেন্ড। বাকি ১০ মাসের স্টাইপেন্ড পাঠিয়ে দেওয়া হবে পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
নয়া প্রকল্পের ঘোষণা করে হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma) জানিয়েছেন, মূলত বাল্যবিবাহ রুখতেই এই পদক্ষেপ করেছে তাঁর সরকার। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই আর্থিক সহায়তা পেলে স্বনির্ভর হবেন মেয়েরা। পরিবারের পাশেও দাঁড়াতে পারবেন। সেই সঙ্গে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন মেয়েরা। বিয়ের জন্য় শিক্ষাকে আর বলি দিতে হবে না তাঁদের। দরিদ্র পড়ুয়াদের জন্যও বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে হিমন্তের।