সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাভ জিহাদ (Love Jihad) রুখতে দেশে কঠিন আইন দরকার, বললেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। দিল্লির সাম্প্রতিক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের (Delhi Murder) বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে একথা বলেন অসমের মুখ্যমুন্ত্রী। এর আগেও শ্রদ্ধা ওয়ালকার (Shraddha Walker) হত্যাকাণ্ডের বিষয় মন্তব্য করেছিলেন হিমন্ত। তিনি দাবি করেছিলেন, দেশে কঠিন মনোভাবের নেতা না থাকলে আফতাবের মতো অপরাধীরা জন্মাবে। আগের বক্তব্যের সময়েও লাভ জিহাদের প্রসঙ্গ টানেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
১৮ মে দিল্লির মেহেরৌলিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর প্রেমিক তথা লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরো করে আফতাব। এরপর দিল্লি শহরের বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলতে থাকে সে। আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে দিল্লিতে চলে এসেছিল তরুণী। যদিও তাঁর পরিণতি হয় মর্মান্তিক। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত। হিমন্তের দাবি, আফতাব-শ্রদ্ধার মতো ঘটনা আরও রয়েছে দেশে। তাই লাভ জিহাদ রুখতে দেশে কঠিন প্রণয়ন করতে হবে। শ্রদ্ধা হিন্দু মেয়ে বলেই তাঁকে ফুঁসলে এনেছিল আফতাব।
[আরও পড়ুন: ৮ লাখের কম রোজগারে সংরক্ষণ অথচ আড়াই লাখে আয়কর কেন? কেন্দ্রকে প্রশ্ন আদালতের]
হিমন্ত শর্মা বলেন, “আফতাব খুন করার পর শ্রদ্ধাকে কেটে টুকরো টুকরো করে। শরীরের মোট ৩৫ টুকরো করে সে। যখন পুলিশ প্রশ্ন করে, কেন সে একজন হিন্দু তরুণীকে মুম্বই থেকে দিল্লিতে নিয়ে এসেছিল? আফতাব উত্তর দেয়, হিন্দুরা আবেগপ্রবণ হয়। এমন অনেক আফতাব-শ্রদ্ধা রয়েছে দেশে। অতএব, লাভ জিহাদকে রুখতে কঠিন আইন দরকার দেশে।” এর আগেও দিল্লি হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতার প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, “যদি দেশে একজন কঠিন মনোভাবের নেতা না থাকে, যিনি দেশকে মা মনে করেন, তবে এমন আফতাব প্রতিটি শহরে জন্মগ্রহণ করবে। এবং আমরা সমাজকে রক্ষা করতে পারব না।”
[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার দিন ৩ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি, মোরবি সেতুকাণ্ডে ফের প্রকাশ্যে গাফিলতির তত্ত্ব]
এদিকে দিল্লি হত্যাকাণ্ডের (Delhi Murder Case) অভিযুক্ত আফতাবের বিরুদ্ধে জোর জবরদস্তি করা যাবে না, সম্প্রতি দিল্লি পুলিশকে এমন নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির এক আদালত। দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাফ জানান, শ্রদ্ধা খুনে অভিযুক্ত আফতাবের বিরুদ্ধে কোনওরকম থার্ড ডিগ্রি ব্যবহার করা যাবে না। তবে পুলিশকে তার নারকো টেস্ট করতে হবে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যেই।