সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়ানোই এখন তৃণমূলের (TMC) আসল লক্ষ্য। আর তাই ত্রিপুরা, অসম, উত্তরপ্রদেশে সংগঠন মজবুত করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। এমনকী, সুস্মিতা দেবের হাত ধরে অসমে (Assam) সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছে বিজেপি? ত্রিপুরার (Tripura) মতো কি সে রাজ্যেও আক্রমণের মুখে পড়বে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা? এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Assam CM Himanta Biswa Sharma)।
রবিবার প্রয়াত অসমের প্রাক্তন বিধায়ক অলক ঘোষের বাড়িতে এসেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। বলেন, “মমতাদিদি (Mamata Banerjee) অসমে এলে আমি রেড কার্পেট পেতে দেব। কারণ তিনি যত অসমে, ত্রিপুরায় আসবেন, ততই কংগ্রেস-ইউডিএফের ভোট কমবে। লাভ আমাদের হবে।” তাঁর কথায়, “আমি বলব, দিদি আসুন। আপনি এলে আমাদের সাহায্য হবে।” এর পরই তিনি প্রশ্ন তোলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। উনি বাংলা নিয়ে থাকুক। অসম-ত্রিপুরায় ওঁর কী কাজ?”
[আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারি প্রকল্পগুলিকে সাহায্য, কন্যাশ্রী-রূপশ্রী-লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে অর্থ দিতে পারে World Bank]
যদিও তাঁর এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল। হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ‘দলবদলু’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (TMC MP Sougata Roy)। তাঁর কথায়, “হিমন্ত বিশ্বশর্মা কী বলেছেন তাতে গুরুত্ব দিতে চাই না। উনি তো ‘দলবদলু’। সর্বানন্দ সোনেওয়াল ভাল মানুষ ছিলেন। ওঁকে সরিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। উনি কংগ্রেস ছেড়েছিলেন কারণ তরুণ গগৈ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।” অসমের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সরব হয়েছেন সৌগত। তাঁর কথায়, “ওঁর শাসনকালে অসম-মিজোরামের অশান্তিতে অসমের পুলিশকর্মীরা প্রাণ হারিয়েছেন। দিমাসা বিদ্রোহীদের হাতে মারা পড়েছেন ট্রাক চালক। অসমের পরিস্থিতি মারাত্মক। উনি নিজের রাজ্য নিয়ে ভাবুন। বাংলা নিয়ে তাঁর মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই।”
[আরও পড়ুন: গেরুয়া শিবিরে বড় ভাঙন, তৃণমূলে যোগ দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক]
উল্লেখ্য, বাংলার বাইরে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে শক্তিবৃদ্ধিতে নজর দিয়েছে। ত্রিপুরার পাশাপাশি অসমেও সংগঠন বৃদ্ধি লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের। এখানকার CAA বিরোধী নেতা তথা বিধায়ক অখিল গগৈকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অখিল অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন না। তবে জোটের পরিকল্পনা হতেই পারে।