সুকুমার সরকার, ঢাকা: সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের (Bangladesh) অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
[আরও পড়ুন: এখনই বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না, জানাল বিদেশমন্ত্রক]
প্রথম সারির এক ইংরাজি দৈনিকের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হিমন্ত বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি বাংলাদেশ সফর করতে চাই।” তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নমূলক আর্থিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর সরকারের। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলেই তিনি ঢাকা সফরে যাবেন। হিমন্ত বিশ্বশর্মা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন বার্তা পাঠান এবং বাংলাদেশের ক্রমাগত আর্থিক প্রগতিকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নেরর প্রস্তাব দেন। গত বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎ করেন বিশ্বশর্মা। এ সময়ে তিনি বার্তালাপে বহু প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। তিনি উলফা জঙ্গিদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়ায় আজ অসম বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থা মুক্ত।” বাণিজ্য নিয়ে হিমন্ত বলেন, “ভারতের উত্তর-পূর্ব স্থলভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন বলে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট অত্যন্ত জরুরি। সেজন্যই বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নমূলক সহযোগিতা গড়ে তুলতে হবে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে পারলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বার উন্মুক্ত হবে।”
এদিকে, নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) এবং নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) প্রসঙ্গে হিমন্ত বলেন, “এর আগে অসমে যে এনআরসি হয়েছে। তাতে ১৯ লক্ষ মানুষ বাদ পড়েছেন। এর জন্য ফের সমীক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই নাগরিকত্ব ফিরে পাবেন।” তিনি আরও বলেন, “এর পর বিদেশি চিহ্নিতকরণ ট্রাইব্যুনালে সবাই নাগরিকত্বর প্রমাণ দাখিল করতে পারবেন। ট্রাইব্যুনাল বিদেশি বা বাংলাদেশি নাগরিকদের চিহ্নিত করবে। তাদের বাংলাদশে ফিরতে হবে। মনে হয়, কেন্দ্রীয় সরকার এটা বাংলাদেশ সরকারকে বুঝাতে পারবে। যতদিন না সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে ততদিন সেসব বিদেশির ভোটাধিকার স্থগিত থাকবে। তবে নাগরিক হিসেবে অন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সেসব পাবেন।” সিএএ সম্পর্কে অসময়ের মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে কভিড পরিস্থিতির কারণে ওটা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তিন মাসের বাড়তি সময় পেয়েছে নিয়মাবলি তৈরির জন্য। এই নিয়মাবলি তৈরি হলেই সিএএ বহাল করা হবে।