সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি ক্ষমতায় ফিরতেই অসমে বিরোধী কংগ্রেস (Congress) শিবিরে ভাঙন শুরু। দল ছাড়লেন তিনবারের বিধায়ক তথা অসমের কুরমি সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা রুপজ্যোতি কুরমি (Rupjyoti Kurmi)। শুধু দল ছাড়াই নয়, তিনি দলত্যাগের আগে যেভাবে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে বিঁধলেন, তা কংগ্রেসের অন্দরে রীতিমতো টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে।
অসমের টি-ট্রাইবের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্র মারিয়ানির তিনবারের বিধায়ক কুরমি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেসের অন্দরে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের কথা শোনাই হচ্ছে না। প্রবীণ নেতাদের গুরুত্ব দিতে গিয়ে তরুণদের উপেক্ষা করছে দল। গুয়াহাটি হোক বা দিল্লি, দলের নতুন প্রজন্মের নেতাদের কথা কোথাও শোনা হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) সরাসরি তোপ দেগে কুরমির দাবি, কংগ্রেসের মতো দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাহুলের নেই। তিনি যতদিন ক্ষমতার অলিন্দে থাকবেন, ততদিন কংগ্রেস দল হিসেবে এগোতে পারবে না। বস্তুত, কুরমি প্রথম নন। কংগ্রেসের অন্দরে তরুণ নেতাদের কথা শোনা হচ্ছে না, এই অভিযোগে এর আগেও একাধিক নেতা দলত্যাগ করেছেন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া থেকে শুরু করে জিতিন প্রসাদ পর্যন্ত, বহু নেতা যারা কিনা একটা সময় রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তাঁরাও এই একই অভিযোগে দল ছেড়েছেন।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের ধাক্কায় ঘর ভাঙার আশঙ্কা? ত্রিপুরায় সংগঠন গোছাতে ঝটিকা সফরে BJP কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব]
সূত্রের খবর, আগামী ২১ জুন রুপজ্যোতি কুরমি যোগ দেবেন বিজেপিতে (BJP)। বিধায়ক পদ ত্যাগের পর ‘দলবিরোধী’ কাজের জন্য কুরমিকে বরখাস্ত করেছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুণ বোরা দাবি করেছেন, এই দলত্যাগের কোনও প্রভাব দলে পড়বে না। কংগ্রেসের তরফে তিন সদস্যের একটি দল কুরমির বিধানসভা কেন্দ্র মারিয়ানিতে পাঠানো হচ্ছে।