সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাবালিকা গৃহকর্মীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অসমে (Assam) গ্রেপ্তার এক ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ। অভিযুক্ত ডিএসপি কিরণ নাথ বর্তমানে গোলাঘাট জেলার লাচিত বোরফুকান পুলিশ একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকর্তা। শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ বছরের নাবালিকাকে তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে নিজের বাড়িতে আটকে রাখেন অভিযুক্ত কিরণ নাথ। এইসঙ্গে বর্বর অত্যাচার চালান। বাড়ির সব রকম কাজ করানোর পাশাপাশি কিরণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা পান থেকে চুন খসলেই মারধর করতেন নাবালিকাকে। এছাড়াও ডিএসপি তাকে লাগাতার ধর্ষণ করেছেন বলেও অভিযোগ।
[আরও পডুন: আইফোন অর্ডার করে হেনস্তার শিকার! ক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে Flipkart]
সম্প্রতি কোনওভাবে পুলিশকর্তার বাড়ি থেকে পালাতে সক্ষম হয় নির্যাতিতা। নিজের পরিবারকে সব কথা জানায়। এর পর পরিবারের তরফে দেরগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তদন্তে নেমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য প্রমাণ পায় পুলিশ। এর পরই গ্রেপ্তার করা হয় ডিএসপিকে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ধারা ৩৭৬ (ষোল বছরের কম বয়সী মহিলাকে ধর্ষণ), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন (POCSO), ২০১২ এর ধারা ৬-এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। অসম পুলিশের ডিজিপি জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং বার্তা দিয়েছেন, পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে জিরো টলারেন্স-ই অসম পুলিশের নীতি। এক্ষেত্রেও তাই হবে।