সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে (Assam) ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বন্যা (Flood)। ক্ষতিগ্রস্ত জেলার সংখ্যা বেড়ে ৩২। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে বলে খবর। বর্তমানে প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি বলে জানা গিয়েছে। শনিবার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫। প্রায় ৩১ লক্ষ মানুষ বন্যাবিধ্বস্ত বলে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যায় চার শিশু-সহ ২৫ জনের মৃত্যুর পর চলতি বছরে অসমে বন্যা ও ধসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে ৫১৪টি ত্রাণশিবিরে থাকবার ব্যবস্থা করেছে। জানা গিয়েছে, হোজাই জেলায় দুর্গতদের উদ্ধারের সময়ে একটি নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হয়েছে তিন শিশু। যদিও বাকি ২১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে। প্রাণহানি, সম্পত্তির ক্ষতির পাশাপাশি সবচেয়ে চিন্তার বিষয় বিপুল পরিমাণ চাষের ক্ষতি। সূত্রের খবর, প্রায় ৬৬,৪৫৫ হেক্টর চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর ফলে খাদ্যশস্যের সংকটে পড়তে পারে রাজ্য।
[আরও পড়ুন: দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্ত ফের ১৩ হাজারের কাছাকাছি, হু হু করে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেস]
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৩২টি জেলা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তার মধ্যেও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বজলি, বক্সা, বরপেটা, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মাজুলি, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগরের। অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে (Himanta Biswa Sarma) ফোন করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘প্রাপ্য সংরক্ষণই তুলে দিয়েছে’, মধ্যপ্রদেশে অগ্নিবীরদের জন্য নিয়োগ প্রস্তাবে সন্দিহান প্রাক্তন সেনাকর্মীরা]
এদিকে বন্যায় পড়শি রাজ্য ত্রিপুরার অবস্থাও ভাল নয়। সেখানে দুর্যোগে ইতিমধ্যে ১০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। আগরতলা গত ৬০ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের সাক্ষী হয়েছে। দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির মুখে উত্তর-পূর্বের আরেক রাজ্য মেঘালয়ও। ১৯৪০ পর সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে চেরাপুঞ্জির মৌসিনরামে। দুর্যোগে মৃতদের পরিবারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা (Conrad Sangma)।