সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পার্সোনাল ল’ বা নিজস্ব ধর্মীয় আইন যাই হোক, অসম সরকারের অনুমতি ছাড়া আর দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না সেরাজ্যের সরকারি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার এই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) মন্ত্রিসভা।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকতে কোনও সরকারি কর্মী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না। দ্বিতীয় বিয়ে করতে হলে সরকারের কাছে উপযুক্ত ছাড়পত্র নিতে হবে। অন্যথায় সরকারি কর্মীদের মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হবে। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করা হবে। ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, পার্সোনাল ল’ (Muslim Personal Law) কী বলছে, সেটা এক্ষেত্রে গুরুত্বহীন।
[আরও পড়ুন: উৎসবেও রেহাই নেই! দাদুর সঙ্গে দশেরা অনুষ্ঠানে গিয়ে ‘ধর্ষিতা’ ৩ বছরের শিশুকন্যা]
হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বে অসম সরকার ইতিমধ্যেই দুই সন্তান নীতি চালু করে ফেলেছে। সেই ২০১৯ সালেই অসম সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন পাশ করায়। যাতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের পর যে সমস্ত দম্পতির দুইয়ের বেশি সন্তান থাকবে তাদের সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, এখন যারা সরকারি চাকরি করছেন, তাদেরও খেয়াল রাখতে হবে যাতে দুইয়ের বেশি সন্তান না হয়। অন্যথা হলে, তাঁদেরও চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়তে পারে। হিমন্ত মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই আইন কার্যকর হয়।
[আরও পড়ুন: ‘হেমা মালিনীকেও নাচিয়ে ছেড়েছি’, উন্নয়ন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর!]
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এক্ষেত্রেও হিমন্তর টার্গেট মুসলিম পুরুষরা। তাঁদের একের বেশি বিয়ে রুখতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আসলে ঘুরপথে মুসলিম পার্সোনাল ল’কে অকেজো করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন হিমন্ত। সেই লক্ষ্যেই দুই সন্তান নীতি চালু করেছেন তিনি। এবার সরকারি কর্মীদের একাধিক বিয়ে বন্ধ করলেন। আগামী দিনে সাধারণ নাগরিকদের জন্যও এই আইন চালু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।