সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha 2024) আগেই চালু হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্র বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে অসমে। মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। তবে সেই সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)।
সোমবার বিকেলে সিএএ কার্যকর হওয়ার ঘোষণা হতেই অসমের (Assam) নানা এলাকায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। গুয়াহাটির কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পোড়ানো হয় সিএএর কপি। বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি রাখা হয়েছে গোটা শহর জুড়ে। সোমবার থেকেই বিধানসভা ও জনতা ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তবে সিএএর (CAA) প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) কার্যকর হওয়াকে অসমের ইতিহাসে কালো দিন বলে অভিহিত করেছেন অসম জাতীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট লুরিনজ্যোতি গগৈ। তাঁর কথায়, সর্বানন্দ সোনেওয়াল এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মা- রাজ্যের দুই মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির কাছে ভিক্ষা চেয়েছেন আর তার পরে এই আইনে সমর্থন করেছেন। অসমের ভূমিপুত্রদের বিরুদ্ধে তাঁরা যে অন্যায় করেছেন, সেই জন্য চিরকাল অসম তাঁদের ভিলেন হিসাবেই মনে রাখবে। অন্যদিকে, অসমের ১৬টি বিরোধী দলের জোট ইউওএফএ সাফ জানিয়েছিল, সিএএ কার্যকর হওয়ার পরদিন থেকেই রাজ্যজুড়ে বন্ধ-হরতাল শুরু হবে। ঘেরাও করা হবে জনতা ভবন।
[আরও পড়ুন: পোর্টালে নাগরিকত্বের আবেদন আজ থেকে, জেনে নিন লাগবে কোন কোন নথি]
এহেন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশেষ নোটিস জারি করেছে গুয়াহাটি পুলিশ। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রেল বা জাতীয় সড়কে কোনও ব্যক্তি বা সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা আগেই জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতিবাদের অধিকার থাকলেও কোনও রাজনৈতিক দল আদালতের নির্দেশের বিরোধিতা করতে পারে না। একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট সিএএ প্রত্যাহার করতে পারে। এহেন পরিস্থিতিতে কোনও দল যদি সিএএর বিরোধিতা করে তাহলে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পরেও রাজ্যজুড়ে হরতালের ডাক থেকে কোনও দল সরে আসেনি বলেই জানা গিয়েছে।