অর্ণব আইচ: পাঁচলাকাণ্ডের তদন্তে কোমর বেঁধেছে সিআইডি। কিন্তু সেই তদন্তে নেমে ফের অসমে বাধার মুখে পড়ল সিআইডি (CID)। রবিবার গুয়াহাটির ব্যবসায়ীর বাড়িতে নোটিস দিতে গিয়েছিল তারা। কিন্তু সেই ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘিরে ছিল অসম পুলিশ। ফলে নোটিস না দিয়েই ফিরতে হয় তাদের। শেষে গুয়াহাটির থানায় গিয়ে নোটিস দিয়ে আসেন সিআইডি আধিকারিকরা।
ঝাড়খণ্ডের সরকার ভাঙার চক্রান্তে নাম জড়িয়েছে অসমের। গুয়াহাটিতে কংগ্রেস বিধায়কদের (Jharkhand Congress MLA) সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের বৈঠক হয়েছে বলে দাবি সিআইডির। গুয়াহাটির এক ব্যবসায়ীর নির্দেশেই কলকাতার হাওয়ালা কারবারি টাকা পৌঁছে দিয়েছিল বলেও অভিযোগ। সূত্রের খবর, সিআইডির দাবি গুয়াহাটির এই ব্যবসায়ী হলেন অশোক ধানুকা। সোমবারের মধ্যে তাঁকে ভবানীভবনে হাজিরা দেওয়ার নোটিস দিতে গিয়েছিলেন সিআইডি কর্তারা।
[আরও পড়ুন: লাগাতার উপহাসের প্রতিশোধ, জাদুঘরে ঘাতক জওয়ানের টার্গেট ছিল ৪ সহকর্মী]
এদিন সকালে গুয়াহাটি পৌঁছে ধানুকার বাড়িতে পৌঁছে দেখেন বাড়ি ঘিরে রেখেছে অসম পুলিশ। সিআইডি কর্তাদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি। তারা ফিরে যাওয়ার সময় অসম পুলিশের গাড়ি তাদের অনুূসরণ করে বলে খবর। শেষে ব্যবসায়ীর বাড়ি যে থানার অন্তর্গত সেখানে গিয়ে নোটিস দেয় সিআইডি। ব্যবসায়ীকে মেইল করেও ওই নোটিস পাঠানো হয়।
গত শনিবার হাওড়ার পাঁচলার কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। যে ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাঁদের (Congress MLA) গ্রেপ্তারির পর জেরা করছে সিআইডি। জেরায় জানা যায়, পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস সরকার ফেলার জন্য বিজেপি প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল কংগ্রেসের ওই তিন বিধায়ককে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বাংলার সিআইডি আধিকারিকরা। এদিন গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নামতেই ইন্সপেক্টর এবং সাব ইন্সপেক্টরকে আটক করা হয়। জানা গিয়েছে, তাঁরা সেখানে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার পুলিশ জানিয়ে দেয়, কোনও ফুটেজ দেওয়া যাবে না। এরপরই তাঁদের স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার ফের একবার বাধার মুখে পড়ল সিআইডি।