সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) ও ছত্তিশগড় (Chhattisgarh)- দুই রাজ্যে শুরু হয়ে গেল বিধানসভা নির্বাচন। শুক্রবার সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য বুথের সামনে লম্বা লাইন। সকালেই ভোট দিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। ভোট দিতে দেখা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রকেও। এছাড়াও বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীকেও সকাল সকাল ভোট দিতে দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়ে ইতিমধ্যেই প্রথম দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। এদিন দ্বিতীয় ও শেষ দফার নির্বাচন কংগ্রেস (Congress) শাসিত রাজ্যে।
মধ্যপ্রদেশে একদিনেই ২৩০ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ হবে। আজকের ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। যেমন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, যিনি রাজ্যবাসীর কাছে মামা বলে পরিচিত সেই শিবরাজ সিং চৌহানের। এছাড়াও রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, বিজেপির (BJP) তরফে বাংলার দায়িত্বে থাকা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এঁরা সকলেই সরাসরি ভোট ময়দানে রয়েছেন। ভোট ময়দানে সরাসরি না থেকেও যাঁদের ওপর সরকার গড়ার ভবিষ্যত নির্ভর করছে তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও প্রাক্তন দস্যুসম্রাট মালকান সিং।
[আরও পড়ুন: আহমেদাবাদে বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি, রোহিতদের উৎসাহ দিতে মাঠে থাকবেন মোদি]
মাঝের একবছর বাদ দিলে প্রায় টানা পনেরো বছর মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার সামলেছেন শিবরাজ সিং চৌহান। তাই বাঘ ও বাগি রাজ্যে এবার সরকার বিরোধী হাওয়া প্রবল। তার ওপর করোনাকালে সিন্ধিয়াকে ভাঙিয়ে এনে কমলনাথ সরকারকে ভেঙে দেওয়ায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। জনতার ক্ষোভ প্রশমনে গত একমাস যাবৎ মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও দলের সর্বাভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। অন্যদিকে, দাঁত কামড়ে প্রচারে ছিলেন রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। ভোট ময়দানে দু’তরফ থেকেই প্রতিশ্রুতি বন্যা বইয়ে দেওয়া হয়েছে। মহিলা ভোটারদের তুষ্ট করতে অনুদানের অঙ্ক নিলামে উঠেছে। কারণ এবার মধ্যপ্রদেশের ভোটে মহিলা ভোটারদের হাতেই সরকার গড়ার চাবিকাঠি।