রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: চেতলার পর খিদিরপুর। ফের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh) মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল। সোমবার খিদিরপুর এলাকার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের সেন্ট থমাস স্কুলের সামনে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, রুদ্রনীল ঘোষের মিছিল লক্ষ্য করে রীতিমতো ইটবৃষ্টি করা হয়। পাথর, ঢিল ছোঁড়া হয়। ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে বলে অভিযোগ রুদ্রনীল ঘোষের। তাঁর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন ভবানীপুর (Bhabanipur) কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)।
২৬ এপ্রিল কলকাতার (Kolkata) ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোট। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) গড় হিসেবে পরিচিত এই কেন্দ্রে টলিউড তারকা রুদ্রনীল ঘোষকে প্রার্থী (BJP Candidate) করেছে গেরুয়া শিবির। শোনা গিয়েছে, মিছিলের মাঝে একবার ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে মিছিল শেষের মুখে আবার উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘটনায় বেজায় ক্ষিপ্ত রুদ্রনীল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, মিছিল লক্ষ্য করে ইট, পাথর, ঢিল ছোঁড়া হয়েছে। মহিলারাও রেহাই পাননি। কোনও জায়গায় প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ আনেন রুদ্রনীল। প্রশ্ন করেন, “এটা কি পশ্চিমবঙ্গ?” ঘটনার জন্য তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির তারকা প্রার্থী।
[আরও পড়ুন: OMG! সুন্দর হওয়ার চাহিদায় ডাক্তারের কাছে গিয়ে এ কী হল অভিনেত্রীর!]
এদিকে তৃণমূলের উপর ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, রুদ্রনীলের উপর কোনও হামলা হয়নি। তৃণমূলের প্রত্যেক কর্মীকে নির্দেশ দেওয়া আছে যাতে তাঁরা কোনও দলের প্রার্থীকে প্রচারে বাধা না দেন। প্রচারের আলোয় আসার জন্য হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে নাটক করছেন বিজেপি প্রার্থী। ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে রুদ্রনীলের এত লোকই নেই যে প্রচার করবেন, দাবি শোভনদেবের।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিজেপির প্রচারের ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ জানাতে চেতলা থানায় যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সঙ্গে ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষও। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের উপর হামলা করা হয়। এরপরই তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। লাগাতার ইটবৃষ্টি হয়। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক গাড়িতে। রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান দুই দলের কর্মীরাই। পরে রাতে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে চেতলা থানায় যায় দুই রাজনৈতিক দল। থানার বাইরেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।