সংবাদ প্রতিদিন ডিজিডাল ডেস্ক: মাঝে মাত্র ২ দিন। ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রামে ভোট (West Bengal Assembly Elections)। তার আগে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাগাতার নিশানা করছেন প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারীকে। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের ঠাকুরচকের সভা থেকে ফের নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে (BJP candidate) তুলোধোনা করলেন তৃণমূল নেত্রী। শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে বললেন, “একদিন এমন অবস্থা হবে, না থাকবে ঘরকা, না ঘাটকা।”
আহত হওয়ার ১৮ দিন পর রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিরুলিয়া বাজারে জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ কী ঘটেছিল সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন। ওইদিন পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে একেবারে সরাসরি অধিকারী পরিবারের দিকে আঙুল তোলেন তিনি। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। সোমবার ফের একই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা থেকে ফের তিনি বলেন, “নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ৪১ জনের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা চালু করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শেখ সুফিয়ানের নামও রয়েছে। কিন্তু ওই গদ্দারদের নাম নেই। কেন নেই? কারণ ওরা আন্দোলনের সময় ছিলই না।” মমতার দাবি, স্মরণীয় সেই ১৪ মার্চে শেখ সুফিয়ানকে ডেকে এনেছিলেন শুভেন্দু কিন্তু আন্দোলনে শামিল হননি। অর্থাৎ ফের তৃণমূল নেত্রী দাবি করলেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অধিকারী পরিবারের কোনও ভূমিকাই নেই।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমি আর দিলীপ ঘোষ সরকার চালাব’, শুভেন্দুর মন্তব্যে তুঙ্গে জল্পনা]
এদিনের সভায় ফের আবেগপ্রবণ হয়ে যান মমতা। নাম না করেই শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “কী দিইনি? আমার ভালবাসার নন্দীগ্রাম দিয়েছিলাম। ক্ষমতা দিয়েছিলাম। এক পরিবারের সবাই কোনও না কোনও সরকারি পদে ছিলেন। এত কিছুর পরও ওই গদ্দাররা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাল।” তৃণমূল নেত্রী বলেন, রবিবার বিরুলিয়ায় তাঁর সভা শেষ হতেই ওই এলাকায় হামলা চালিয়েছিল বিজেপি। অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে শুভেন্দুই। মমতার কথায়, “যাঁদের হেরে যাওয়ার ভয় থাকে তাঁরাই এভাবে হামলা করে। ম্যাচ শুরুর আগেই হেরে বসে আছে। তাই এসব করছে।” এরপরই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বললেন, “একদিন ওদের না ঘরকা, না ঘাটকা অবস্থা হবে। সেদিন বুঝতে পারবে কী করেছে।”