সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অতি প্রবল’ সাইক্লোন তওকতে (Cyclone Tauktae) স্থলভাগে প্রবেশ করে শক্তি হারাতে শুরু করেছে। তবে এখনও প্রবল ঝড়ের দাপটে কাঁপছে গুজরাট থেকে মহারাষ্ট্র। আর তওকতের তাণ্ডবে এ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ৬ জন এবং কেরলে ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কর্ণাটকেও তওকতের কারণে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
গতকাল সোমবার রাতেই গুজরাট উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে তওকতে। তওকতের প্রভাবে প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে গিয়েছে প্রচুর গাছ। গতকালই গোয়া, মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত কয়েক দশকের মধ্যে সব থেকে বড় সাইক্লোন তওকতে গতকাল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়ে। তার পর থেকে তার শক্তি একটু একটু করে কমছে। মহারাষ্ট্রে ৬ জনের মৃত্যু ছাড়াও বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। কর্ণাটকে ৭ জেলার অন্তত ১২১টি গ্রাম ঝড়ে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেরলে প্রায় দেড় হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।
ঝড়ের দাপটে মুম্বই উপকূলের কাছে ডুবে যায় ‘পি ৩০৫’ নামের একটি বার্জ। তাতে ২৭৩ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৪৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিখোঁজ এখনও ১২৭ জন। উদ্ধার কাজে নেমেছে নৌবাহিনীর আইএনএস কোচি এবং আইএনএস কলকাতা-সহ ৪টি যুদ্ধজাহাজ। এর পাশাপাশি, সাগর ভূষণ ওয়েল রিগ-এ আটকে পড়েছেন ১০১ জন। তাঁদেরও উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে। পাঠানো হয়েছে যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তলওয়ার-কে। ‘গ্যাল কনস্ট্রাক্টর’ নামে একটি বার্জও বিপদের মধ্যে পড়ে। সেখানে ১৩৭ জন ছিলেন। উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ সিজিএস সম্রাট তাদের উদ্ধার করতে নেমেছে। এছাড়া ‘বার্জ এসএস-৩’ মাঝ সমুদ্রে আটকে পড়ে। সেখানে ১৯৬ জন যাত্রী ও ক্রু রয়েছেন। তাঁদেরও উদ্ধারের কাজ চলছে।
[আরও পড়ুন: কোভিড চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি নয়, জানিয়ে দিল কেন্দ্র]
গুজরাটের উপকূল এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে করোনা রোগীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য সরকার বিদ্যুতের ব্যবস্থা চালু রাখা-সহ সব রকম ব্যবস্থা করছে। মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক শো অ্যাম্বুল্যান্স।
মঙ্গলবার থেকে উত্তরপ্রদেশের কিছু এলাকাতেও তওকতের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।