সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত সোমালিয়া! সেদেশের রাজধানী মোগাদিশুর একটি সমুদ্র সৈকতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩২ জন। আহতের সংখ্যা ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আল কায়দায় সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাব এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। সেনার পালটা মারে নিকেশ হয়েছে সব জেহাদিরা।
সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে মোগাদিশুর একটি বিখ্যাত সমুদ্র সৈকতে। রোজকার মতো সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। হঠাৎ একদল জেহাদি হামলা শুরু করে। এক ফিদায়েঁ জঙ্গি সৈকতে ঢোকার মুখেই বিস্ফোরণ ঘটায়। এর মাঝেই সৈকতের ওপর প্রান্তে কয়েকজন জঙ্গি সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। সমুদ্রের সামনের হোটেলে ঢুকে পড়ারও চেষ্টা করে তারা। কিন্তু তাদের ছক বানচাল করে দেয় সোমালিয়ার সেনাবাহিনী। সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চলে। এক জঙ্গিকে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে যেতে রুখে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর পালটা মারে একে একে নিকেশ হয় সব জেহাদি। রেডিও মারফত এই হামলার দায় স্বীকার করেছে আল কায়দায় সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাব।
এই ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র আবদিফাতাহ আদান হাসান সাংবাদিকদের জানান, "প্রথমে ৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। এর পর মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৬৩। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।" এই ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন সোমালিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসান আলি খায়ের। এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ করে তিনি নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরতেই আল-শাবাবের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে তারা দেশের মধ্যভাগে ঘাঁটি গেড়েছে। ফলে এই জঙ্গি হানায় দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।