সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) পর এসসি ইস্টবেঙ্গলও (SC East Bengal) আইএসএলে তাদের প্রথম ম্যাচ খেলে ফেলল। সবুজ-মেরুন বাহিনী প্রথম ম্যাচ থেকেই পুরো তিন পয়েন্ট তুলে নিতে পারলেও, লাল-হলুদ বাহিনীকে প্রথম ম্যাচে ‘এক’ পয়েন্ট নিয়েই খুশি থাকতে হয়েছে। কিন্তু আসল কাউন্টডাউন বোধহয় শুরু হয়ে গেল, উভয়েই একটি করে ম্যাচ খেলে ফেলার পর। কারণ, পরের ম্যাচটাই যে ডার্বি (Derby)। যেখানে কাগজে কলমে অনেকটাই এগিয়ে হাবাসের দল। কিন্তু প্রথম ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে খুব একটা খারাপ ফল না করায়, এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ ম্যানুয়েল ডিয়াজও ডার্বি ঘিরে ছক কষতে শুরু করে দিয়েছেন। বলতে গেলে মান্ডভীর তীরে দু’দলের অন্দরেই এখন ঢুকে গিয়েছে ডার্বির উত্তাপ। যে উত্তাপ থেকে সমর্থকদের মতো ছাড়া পাচ্ছেন না দু’দলের ফুটবলাররাও।
যেমন, এটিকে মোহনবাগানের গোলকিপার অমরিন্দর সিং (Amrinder Singh)। এটাই তাঁর প্রথম ডার্বি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই শনিবার তিলক ময়দানের ডার্বি ঘিরে তাঁর উচ্ছ্বাস সামান্য বেশি। বলছিলেন, “এশিয়াতে কলকাতা ডার্বি অন্যতম বড় ম্যাচ। এই ম্যাচটার গুরুত্ব মেরিনার্সদের কাছে কতটা তা আমরা জানি। সমর্থকদের খুশি করাটাই আমাদের কাজ।”
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে এবার কীর্তি আজাদ! দিল্লিতে মমতার হাত ধরেই যোগ দিতে পারেন ঘাসফুল শিবিরে]
প্রথম ম্যাচে অমরিন্দররাও জিতলেও, জিততে পারেননি পেরিসেভিচরা। ডার্বির আগে অমরিন্দর তা নিয়ে অবশ্য খুব একটা ভাবছেন না। বলছিলেন, “ওরা প্রথম ম্যাচে পুরো পয়েন্ট পায়নি বলে, ওদের ছোট করে দেখার কোনও অর্থ নেই। এসসি ইস্টবেঙ্গলে সত্যিই বেশ কয়েকজন ভাল ফুটবলার রয়েছে। আর ওদের কোচও কিন্তু দলটাকে ভালভাবেই তৈরি করেছে। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য, কেরল ম্যাচের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখা। সেইজন্যই অনুশীলনে আরও বেশি করে মন দিতে চাই।”
প্রথম ম্যাচে জয় না পেলেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের আন্তোনিও পেরোসেভিচের খেলা সবার ভাল লেগেছে। জামশেদপুর ম্যাচের পর লাল—হলুদের এই ফরোয়ার্ড বলছিলেন, “প্রস্তুতির সময় হোটেল, প্র্যাকটিস মাঠ নিয়ে নানারকম সমস্যা ছিল। তবুও কিন্তু আমরা দ্রুত উন্নতি করেছি। এটা ঠিক যে এখানেই থেমে গেলে হবে না। আমাদেরআরও উন্নতি করতে হবে। একশো ভাগ আমরা তৈরি হয়ে গিয়েছি, এখনই এই কথা কিন্তু বলতে পারি না। একটু সময় লাগবে। ধীরে ধীরে আমরাও নিজেদের সেরা ফর্মে ঠিক চলে আসব। পরের ম্যাচটাই ডার্বি। আশা করছি, ডার্বিতে প্রথম ম্যাচের থেকেও আমরা বেশি ভাল খেলব।”
প্রীতম কোটাল বলছিলেন, “বহু ডার্বি ম্যাচ খেলেছি। তাই জানি, এই ম্যাচ জিতলে সমর্থকরা কতটা খুশি হন। তবে এবার আমরা একটু ভিন্ন স্টাইলে খেলছি। আক্রমণাত্মক ফুটবলই এবার আমাদের প্রধান অস্ত্র। এক গোল খেলে চার গোল দেওয়ার ক্ষমতা আছে আমাদের। কোচ সেভাবেই পুরো পরিকল্পনা করেছেন। আর প্রথম ম্যাচে কেরলের বিরুদ্ধে সামান্য যেসব ভুলত্রুটি হয়েছে, আশা করছি, শনিবার ডার্বি ম্যাচে সেই ভুলগুলি আর হবে না।”
এসসি ইস্টবেঙ্গলের টমিস্লাভ বলছেন, “ডার্বিকে লক্ষ্য করে সব দিক থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেটপিস থেকে একটা সামান্য ভুলে প্রথম ম্যাচে আমাদের গোল খেতে হয়েছে। ডার্বি ম্যাচে এই সামান্য ভুলগুলি যাতে না হয়, তার দিকে আমাদের লক্ষ্য থাকবে। একই সঙ্গে আমার দারণা, ডার্বিতে সেটপিস থেকে আমরা গোলও করতে পারি। আর এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ ম্যানুয়েল ডিয়াজ বলছেন, “ডার্বি যে কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ন ম্যাচ, তা আমরা জানি। প্রথম ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। এবার ডার্বি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দেব।