সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশা এফসি-কে (Odisha FC) হারিয়ে তিন পয়েন্ট পাওয়া লক্ষ্য ছিল বাগানের। সম্ভব হয়নি তা। লিগ টেবলে শীর্ষে যাওয়ার পথ অনেকটা মসৃণ করার প্রয়োজন ছিল। সম্ভব হল না। রয় কৃষ্ণের (Roy Krishna) খেলা শেষ হওয়ার আগের মুহূর্তে লালকার্ড দেখা দলের উপর প্রভাব ফেলতে বাধ্য। না, তাও আপাতত ভাবনায় নেই। এখন এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) কোচ জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) মাথাব্যথার কারণ একটাই, যতটা সম্ভব দলকে চোট-আঘাত মুক্ত করা।
ওড়িশা ম্যাচের আগেও দলের ফুটবলারদের ফিটনেসের প্রসঙ্গ উঠতে কোচ বলেছিলেন, “এটা বলব না যে, আমার দলের সবাই একশো শতাংশ ফিট। কোভিড পরিস্থিতির পর সেটা সম্ভবও নয়। তবু এই অবস্থাতেও ফুটবলাররা যে অবস্থায় আছে, আমি খুশি।” যদিও শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট খোয়া গিয়ে তাল কেটেছে বাগান শিবিরে।
[আরও পড়ুন: কেন বাংলার প্রতি ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? CAB-র অভিযোগের পালটায় সরব দিন্দারা]
ওড়িশা অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল। তা সত্ত্বেও সেই দলকে না হারানো সবুজ-মেরুন শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা। তাহলে কি লিগে শীর্ষে থাকার স্বপ্ন ধাক্কা খেতে চলেছে? রবিবারের বেঙ্গালুরুর ম্যাচের আগে প্রশ্নের জবাবে সরাসরি সবুজ-মেরুন কোচ ফেরান্দো জানিয়ে দিলেন, “শেষপর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এখন থেকে হাল ছেড়ে লাভ কী? এই মানসিকতা নিয়ে সকলের লড়াই করা প্রয়োজন। শেষ পর্যন্ত কী হবে তা শেষেই দেখা যাবে। কিন্তু চেষ্টায় খামতি রাখা চলবে না।”
[আরও পড়ুন: ব্রিটেনের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় না ভারতীয় বায়ুসেনার, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কী বার্তা দিতে চাইছে নয়াদিল্লি?]
ওড়িশা ম্যাচে তিন পয়েন্ট পাওয়ার লক্ষ্যে খেলতে নেমেছিলেন স্প্যানিশ কোচ। তাই তিন পয়েন্ট না পাওয়া নিঃসন্দেহে বড় ক্ষতি। সেকথা স্বীকার করে নিয়ে ফেরান্দো জানাচ্ছেন, চোট-আঘাত তাঁর দলকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। “চোট সমস্যায় জর্জরিত হয়ে উঠছি। শুধু ব্যাপারটা আমাদের ঘটছে তা বলব না। সব দলকেই কম-বেশি চোট সমস্যায় ফেলছে। চোট পাওয়া ফুটবলারের বদলে অন্য কাউকে নামানো কঠিন হয়ে উঠছে। খেলোয়াড়রা তৈরি থাকলে নামানো যায়। পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে চাইলে খেলোয়াড় বদলে তা করা অসম্ভব নয়।’’