সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত চিন। কয়েকটি প্রদেশে ভারী বৃষ্টির কারণে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। শানশি প্রদেশে হড়পা বানে সেতু ভেঙে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। নিখোঁজ বহু। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে তল্লাশি অভিযান। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
গত কয়েকদিন ধরেই চিনের বিভিন্ন প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বেশ কয়েকটি নদী। গত শুক্রবার থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যে নাগাদ শাংলউ শহরে হঠাৎই হড়পা বান আসে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে একটি সেতু। সেসময় অন্তত ২৫টি গাড়ি ছিল সেখানে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে আসে উদ্ধারকারী দল, দমকলবাহিনী। প্রথমে সেখান থেকে ১১ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫। সোমবার চিনের সংবাদমাধ্যমগুলো এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তবে দুদিন ধরে উদ্ধারকাজ চালানোর পরেও খোঁজ মেলেনি বহু মানুষের। নিখোঁজের সংখ্যা এখনও সঠিকভাবে জানাতে পারেনি প্রশাসন। তাঁদের উদ্ধারের জন্য নেমেছেন প্রায় ১৭০০ জন। ২০৫টি গাড়ি ও ৬৩টি নৌকাও নামানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: গাজার হাসপাতালে ইজরায়েলের হামলায় মৃত ১৫! ‘মৃত্যুপুরী’ তে বাড়ছে পোলিও-র প্রকোপও]
এদিকে, এই দুর্ঘটনায় দ্রুত উদ্ধারকাজের নির্দেশ দিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যে জায়গায় প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে সেখানে বিশেষভাবে মোতায়েন করা হয়েছে উদ্ধারকারী দলগুলোকে। প্রতিবছর এসময় প্রবল বর্ষণে ভেসে যায় চিনের বহু অঞ্চল। বন্যায় বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। ঘটে প্রাণহানি। এবছরও বন্যার কারণে হেনান প্রদেশ থেকে প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সিচুয়ান প্রদেশের কয়েকটি এলাকায় প্লাবনে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের।