চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: আমফানে (Amphan) ত্রাণ দুর্নীতির জন্য শোকজ করা হয়েছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার প্রায় ২০০ জন তৃণমূল নেতাকে। দলীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের পঞ্চায়েত প্রধান এবং কয়েকজন অঞ্চল সভাপতি-সহ মোট ২৫ জনকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হল। আজ দলীয় বৈঠকে তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল সাসপেনশনের চিঠি ধরানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মে মাসের অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে রাজ্যে উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকা। তার পুনর্গঠনে সরকার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। কারা তা পাবেন, তার তালিকা তৈরি নিয়ে গোড়া থেকেই দুর্নীতি হয়েছে বলে বারবার শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বিক্ষোভে বারবারই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন এলাকা। খবর কানে পৌঁছতেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসকদল তৃণমূল। নেত্রীর নির্দেশমতো, আমফান ত্রাণে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে শোকজ করা হবে, তারপর দলীয় তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তি।
[আরও পড়ুন: বাথরুমে ঢুকে নাবালিকার ‘শ্লীলতাহানি’, মারধরের পর অভিযুক্তের চুল কেটে নিল স্থানীয়রা]
শাসক হিসেবে তৃণমূলের উত্থানের একেবারে ভিত্তি নন্দীগ্রামের বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে এধরনের অভিযোগ ওঠায় কার্যত আরও কড়া হয়েছে শাসকদল। স্বজনপোষণের মধ্যে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নন, এমন কেউ টাকা পেয়ে থাকলে, তাঁদের থেকে টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যথা হলে এফআইআরের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। সেদিনই বোঝা গিয়েছিল, দুর্নীতির তকমা ঘোচাতে কতটা মরিয়া শাসকদল।
[আরও পড়ুন: আমফানের ত্রাণে ‘দুর্নীতি’ রুখতে কড়া পদক্ষেপ শুভেন্দু অধিকারীর, গড়লেন তদন্ত কমিটি]
তারই প্রথম পদক্ষেপ ছিল শোকজ। রবিবার নন্দীগ্রামের ২০০ জন নেতাকে শোকজ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হল মঙ্গলবার। এদিন নন্দীগ্রামের দলীয় বৈঠক এক পঞ্চায়েত সভাপতি এবং তৃণমূলের কয়েকজন অঞ্চল সভাপতিকে সাসপেনশনের চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হল। এছাড়া আরও ২২ জন বিভিন্ন স্তরের নেতাও সাসপেন্ডেড হয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ করে আমফানের টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ দলীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।
The post ত্রাণ দুর্নীতিতে কড়া শাস্তি, সাসপেন্ড নন্দীগ্রাম এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ২৫ তৃণমূল নেতা appeared first on Sangbad Pratidin.