সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা পাকিস্তানে। সংকীর্ণ পাহাড়ি রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই বাস। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৮ জন। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২০। দুর্ঘটনায় জখমদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রশাসনের।
সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, বুধবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটে বালোচিস্তান প্রদেশের ওয়াশুক জেলায়। এদিন যাত্রীবাহী বাসটি গদর থেকে কোয়েটারের দিকে যাচ্ছিল। তখনই একটি পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে দ্রুতগতির বাসটি। ছিটকে গিয়ে পড়ে খাদে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। দ্রুত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ২৮ জনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে এখনও জানা যায়নি দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে মোট কত জন যাত্রী ছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘অল আইজ অন রাফা’, সোশাল মিডিয়ায় হঠাৎ কেন ট্রেন্ডিং এমন বাক্য?]
এই দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, বাসটির টায়ার ফেটে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটেছে। যার ফলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। আহত ও মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন রাজা নকভি। আহতদের উন্নত চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন বালোচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী শারফরাজ বুগতি।
বলে রাখা ভালো, চলতি মাসের গোড়াতেই পড়শি দেশের গিলগিট-বালটিস্তান এলাকার কারাকোরাম হাইওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। সংকীর্ণ পাহাড়ি রাস্তায় আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বাসের চালক। পিছলে গিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি। সেই ঘটনাতেও ২০ জনের মৃত্যু হয়। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, খারাপ রাস্তা, অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন এবং অপেশাদার চালকদের কারণে নিয়মিতই বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। পাহাড়ি রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বারবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে যাত্রীবাহী বাস। কিন্তু তাতেও টনক নড়ছে না প্রশাসনের।