জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: আনলক ফোর (Unlock 4) শুরু হলেও করোনার প্রকোপ কিন্তু কমেনি। এই অবস্থায় সরকারি অনুমতি নিয়ে মাত্র ১০০ জনকে নিয়ে সভায় ছাড় মিললেও বড় রাজনৈতিক সভা, জনসভা আপাতত বন্ধ। বেশি জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা বনগাঁর পাইকপাড়া এলাকায় তৃণমূলের সভার বহর দেখে মনে হল না, এটা করোনা কাল। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে উপচে পড়ল ভিড়।
তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, সভায় প্রায় ৪ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি এবং সিপিএম থেকেও নাকি হাজারেরও বেশি মানুষ ওই সভায় এসে তৃণমূলে যোগদান করেছেন এদিন৷ তাই এত ভিড়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে এই সভার আয়োজন করা হল, পুলিশের নজর এড়িয়ে কীভাবেই বা এত মানুষের জমায়েত হল, উঠছে হাজারও প্রশ্ন। সভায় দেখা গেল না ন্যূনতম সচেতনতাও। সামাজিক দূরত্ববিধি (Social Distance) পালনের কোনও চিহ্ন। অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক। প্রশ্ন উঠেছে এই করোনা পরিস্থিতিতে এই সভা থেকে যদি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে তার দায় কে নেবে?
[আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত জগদ্দল, ভর সন্ধেবেলা অর্জুন সিংয়ের বাড়ি লাগোয়া এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি]
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ ও প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর। গোপাল শেঠের কথায়, “বিজেপির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আজকের সভায় শামিল হয়েছেন। বিজেপির মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করেছেন। দূরত্ব মেনেই সকলে বসেছেন৷” ঠিক উলটো অভিযোগ সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক পঙ্কজ ঘোষের। তিনি বলেন, “প্রশাসন নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন বলেই এমন ঘটনা ঘটছে৷” বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের দাবি,”তৃণমূলের ডুবন্ত জাহাজ মরার জন্য কেউ উঠবে না। ওরা নিজেদের লোকজনকে যোগদান করিয়ে বিজেপির লোক বলছে। ওরা বিরোধীদের সভা করতে দিচ্ছে না। অথচ নিজেরা সভা মিছিল করে করোনা ছড়াচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যে সংক্রমণ খানিক কমলেও বিশেষ স্বস্তি নেই, একমাত্র আশা সুস্থতার হারই]
The post করোনা বিধি উপেক্ষা করে সভায় ৪০০০ জনের জমায়েত! বিতর্কে বনগাঁর তৃণমূল নেতৃত্ব appeared first on Sangbad Pratidin.