অর্ণব আইচ: দশ টাকা দিয়ে ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করালে মিলবে চাকরি। মাত্র দশ টাকার বিষয়। তাই গা করেননি গৃহবধূ। এটিএম কার্ডের মাধ্যমে সেই দশ টাকা পাঠিয়েছিলেন একটি অ্যাকাউন্টে। সেই কার্ডের তথ্য নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও দু’লাখ টাকা।
এটিএম জালিয়াতির নতুন পদ্ধতি। ব্যাংক আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ফোন না করে এবার ভুয়ো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সুকৌশলে এটিএম কার্ডের তথ্য জেনে নেয় জালিয়াতরা। এবার তাদের পাতা ফাঁদে পা দেন শহরের এক মহিলা। এই বিষয়ে সার্ভে পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশের মতে, যেহেতু চাকরির টোপ দিয়ে এই নতুন পদ্ধতিতে জালিয়াতির ফাঁদ পাতা হয়েছে, তাই এতে পা দিতে পারেন অনেকেই। ফোন করে এটিএম কার্ডের নম্বর জেনে জালিয়াতির পুরনো পদ্ধতির সঙ্গে এই নতুন পদ্ধতির একটি পার্থক্য জেনে হতবাক পুলিশ আধিকারিকরা। চলতি পদ্ধতিতে অভিযোগকারীর মোবাইলে ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ বা ওটিপি আসে। জালিয়াতরা সেই ওটিপি ফোন করে চেয়ে নেয়। ওটিপি না পেলে জালিয়াতরা এটিএম জালিয়াতি করতে পারে না। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সার্ভে পার্কের বাসিন্দা ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনও ওটিপি আসেনি। সরাসরি তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছে জালিয়াতরা। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় ভারতীয় ই-ওয়ালেটের বদলে বিদেশি ই-ওয়ালেট জালিয়াতরা ব্যবহার করলে ওটিপি চাওয়া হয় না।
[নির্বাচনের আগে সতর্ক প্রশাসন, শহর সীমানায় শুরু ‘নাকা চেকিং’]
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি সন্তোষপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা একটি চাকরির ওয়েবসাইটে নিজের বায়োডাটা দেন। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে এক ব্যক্তি ফোন করে বলে, তাঁর বায়োডেটা তারা পেয়েছে। তাঁকে চাকরির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। কিন্তু তিনি আসল ব্যক্তি কি না, তার প্রমাণ পেতে তাঁকে দশ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে ল্যাপটপ খুলতে বলে ওই ব্যক্তি। একটি ভুয়া ওয়েবসাইট তাঁকে খুলতে বলা হয়। তাঁকে বলা হয়, দশ টাকা লেনদেনের জন্য তাঁর এটিএম কার্ডের নম্বর লিখতে। তিনি সেই তথ্য পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯০ টাকা ও তার মিনিট দু’য়েকের মধ্যেই ৪৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। মোট ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯০ টাকা ওই গৃহবধূর কাছ থেকে জালিয়াতি করা হয়। তদন্ত শুরু করে জালিয়াতদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
The post ভুয়ো ওয়েবসাইটে চাকরির টোপ, বধূর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ২ লক্ষ টাকা appeared first on Sangbad Pratidin.