সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম দিনেই দুঃসংবাদ পেলেন অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ক্রিকেট ভক্তরা। আগেই টেস্ট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। এবার একদিনের ক্রিকেট থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদায়ী টেস্টের আগে জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী অজি ওপেনারের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক ক্রিকেটপ্রেমীরা। আগামী ৩ জানুয়ারি সিডনির বাইশ গজে কেরিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে নামবেন মারকুটে ওয়ার্নার। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy 2025) দলের তাঁর প্রয়োজন হলে, অবসর ভাঙতে পারেন। সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু কেন ৫০ ওভারের ফরম্যাটকে বিদায় জানালেন? সাংবাদিক বৈঠকে ওয়ার্নার বলেছেন, “আমার তিন মেয়ে বড় হচ্ছে। ওদের লেখাপড়ার দিকটা দেখতে হবে। পরিবারের সঙ্গে আরও সময় কাটাতে চাই। তাই টেস্টের পর একদিনের ক্রিকেট থেকেও বিদায় নিচ্ছি।” সাংবাদিক বৈঠকের সময় ওয়ার্নারের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ক্যানডিস এবং তিন কন্যা ইভি, আইলা ও ইন্ডি।
[আরও পড়ুন: এক আসনে মারাদোনা-মেসি, চির অবসরে যাবে এলএম টেনের ১০ নম্বর জার্সিও]
ওয়ার্নার ফের যোগ করেন, “ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটাই আমার একদিনের ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ ছিল। শেষ ম্যাচে বিশ্বকাপ জয়, অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো ব্যাপার। তবে আমার জীবনে সেটা ঘটেছে। তাই নিজেকে ধন্য মনে করি।”
এদিকে ২০২৫ সালে পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হওয়ার কথা। এত কম সময়ের মধ্যে ওয়ার্নারের বিকল্প ওপেনার কি আদৌ পাবে অস্ট্রেলিয়া? এই প্রশ্ন সবার মুখে। বাঁহাতি ওপেনার অবশ্য বলছেন, “আমার এখনও দুই বছর দাপটের সঙ্গে খেলার ক্ষমতা রয়েছে। আর তাই আমাদের ক্রিকেট বোর্ড যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আমার সার্ভিস পেতে চায়, তাহলে অবসর ভেঙে ফিরে আসতে পারি।”
আসন্ন ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ থেকে নাম সরিয়ে নেন ওয়ার্নার। এরপর থেকে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল তাঁকে নিয়ে। বলা হচ্ছিল, নিজেকে শুধু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেখতে চান ৩৭ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। অবশেষে সেই গুঞ্জন সত্যি হল।
২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক হয় ওয়ার্নারের। এর পর টানা ১৫ বছর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইনিংস ওপেন করেছেন তিনি। জিতেছেন ২০১৫ এবং ২০২৩ সালের একদিনের বিশ্বকাপ। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ১৬১ ম্যাচে তাঁর রান ৬৯৩২। সর্বোচ্চ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১২৮ বলে ১৭৯ রান। গড় ৪৫.৩০। ৯৭.২৬ স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে করেছেন ২২টি শতরান ও ৩৩টি অর্ধ শতরান।