সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি'র তরফে দিন কয়েক আগেই 'এমার্জেন্সি' (Emergency) ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার অস্ট্রেলিয়া শিখ কাউন্সিলের তরফে আপত্তি উঠল। তাঁদের দাবি, "এটি প্রোপাগান্ডা সিনেমা ছাড়া কিচ্ছু নয়! ইন্দিরা গান্ধি স্তুতি করে শিখ সম্প্রদায়ের শহিদদের অসম্মানজনকভাবে দেখানো হবে। যা কিনা ভীষণই অসম্মানজনক।" মুক্তির আগেই কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) সিনেমা যে আরও বিপাকে, তা বলাই বাহুল্য।
অস্ট্রেলিয়ার মাল্টিপ্লেক্স ব্র্যান্ড 'ভিলেজ সিনেমা'র কাছে একটি লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে অস্ট্রেলিয়া শিখ কাউন্সিলের তরফে। সেখানে লেখা- "'এমার্জেন্সি'র মতো প্রোপাগান্ডা ছবিটি আপনাদের প্রেক্ষাগৃহে দেখানো নিয়ে আমরা ভীষণই উদ্বিগ্ন। এই ছবিতে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর স্তুতিবন্দনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যা শিখ সম্প্রদায়ের জন্য যথেষ্ট অসম্মানজনক। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনাকেও বিকৃত করে দেখানো হবে। যা শিখ সম্প্রদায়ের জন্য ভীষণ আঘাতমূলক।"
সেই চিঠিতেই অস্ট্রেলিয়া শিখ কাউন্সিলের সংযোজন, "ছবিটি অস্ট্রেলিয়ার হিন্দুপন্থী (বিজেপি-মোদি) সমর্থকদের মধ্যে শিখ-পাঞ্জাবি সম্প্রদায় এবং অহিন্দুত্ব সমর্থকদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা। এই ছবির প্রদর্শন অস্ট্রেলিয়ার শিখ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে এবং শিখদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।" এর আগে এই একই অভিযোগ এনে 'এমার্জেন্সি' বয়কটের ডাক দিয়েছিল 'শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি' সভাপতি হরজিন্দর সিং ধামি। তাঁর অভিযোগ, কঙ্গনার এই ছবিতে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে বিচ্ছিন্নতাকামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকে। এমনিতেই এর আগে শিখ বিরোধী মন্তব্য করায় পাঞ্জাবে গিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের রোষানলের মুখে পড়েছিলেন কঙ্গনা। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল। এবার 'এমার্জেন্সি' মুক্তির আগেও সেই একই বিপাকে পড়লেন কঙ্গনা রানাউত। এদিকে শ্রীঅকাল তখত সাহিবের তরফেও সেন্সর বোর্ডের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সিনেমা মুক্তি বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছে। এই সিনেমার ক্ষেত্রেও কি কঙ্গনা রানাউত বক্স অফিসে হিটের মুখ দেখতে পারবেন? নজর থাকবে সেদিকে।