সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এস জয়শংকরের সাংবাদিক সম্মেলন সম্প্রচারিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার একটি চ্যানেলে। তার পরেই ওই চ্যানেলটি নিষিদ্ধ করে দিল কানাডা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই অজি চ্যানেলের সোশাল মিডিয়ার উপরেও কোপ বসিয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর প্রশাসন। গোটা ঘটনায় প্রতিক্রিয়া মিলেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফেও। সংবাদমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া যে বাকস্বাধীনতা হরণেরই নামান্তর, সেকথা মনে করিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে অজি বিদেশমন্ত্রী পেনি ওংয়ের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন জয়শংকর। সিডনিতে আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলন সম্প্রচারিত হয় অস্ট্রেলিয়া টুডে নামে একটি চ্যানেলে। অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে এই চ্যানেলটি খুবই জনপ্রিয়। বৃহস্পতিবার ওই চ্যানেলেই ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মন্তব্য করেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী। তার পরেই অস্ট্রেলিয়া টুডেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে কানাডা। কেন হঠাৎ অজি সংবাদমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হল, সেই নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেনি জাস্টিন ট্রুডোর প্রশাসন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তাঁর কথায়, "আমরা অবাক হয়ে গিয়েছি। পুরো ব্যাপারটাই আমাদের কাছে খুব আশ্চর্য লেগেছে। কিন্তু এটুকুই বলতে পারি যে বাকস্বাধীনতা নিয়ে কানাডা সরকারের দ্বিচারিতা প্রকাশ পায় এই ঘটনায়।" জয়শংকরের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তিনটি বিষয় উল্লেখ করেন রণধীর। কানাডাকে বিঁধে জয়শংকর মন্তব্য করেছেন বলেই অস্ট্রেলীয় চ্যানেল নিষিদ্ধ করা হয়েছে কানাডায়, এমনটাই ইঙ্গিত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, কানাডায় খলিস্তানিদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে একাধিকবার সেদেশের প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ভারত। কিন্তু বারবারই বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে ভারতের অভিযোগ নস্যাৎ করেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। ফলে খলিস্তানিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ট্রুডো প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এবার সেই কানাডাতেই নিষিদ্ধ হল সংবাদমাধ্যমের চ্যানেল। প্রশ্ন উঠছে, জয়শংকরের মন্তব্যের সম্প্রচার কি বাকস্বাধীনতার আওতায় পড়ে না?