সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার চিনের (China) আগ্রাসী নীতির কড়া নিন্দা করল অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় সেনার সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করেছে চিন, তাকে ‘ভয়ংকর’ বলে অভিহিত করেছেন সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মার্লস। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া (Australia) দু’দেশের নিরাপত্তা ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় সমস্যা হল চিন। আপাতত ভারত সফরে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী রিচার্ড। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, সীমান্ত সমস্যা সমাধান করতে শক্তিপ্রয়োগ করছে চিন। সেটা খুবই চিন্তার ব্যাপার।
রিচার্ড বলেছেন, “চিন চাইছে সারা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করতে। আগে কখনও এইভাবে আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করেনি বেজিং। মূলত গত দশ বছরেই চিনা বিদেশনীতির পরিবর্তন ঘটেছে। গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, নানা ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে চিন।” এরপরেই গালওয়ান প্রসঙ্গ টেনে আনেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা তথা ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “দক্ষিণ চিন সাগরে আগ্রাসী নীতি নিয়েছে বেজিং। একইভাবে গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley Clash) ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে নির্মম ব্যবহার করেছে। এই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে রয়েছি আমরা। কারণ আমাদের সঙ্গেও একই আচরণ করছে চিন।”
[আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেস, এনসিপির হাত ছাড়তে রাজি’, সুর নরম করে ‘বিদ্রোহী’দের ফিরে আসার আরজি সঞ্জয়ের]
অস্ট্রেলীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, দক্ষিণ চিন সাগরে কৃত্রিম ভাবে দ্বীপ তৈরি করছে বেজিং। তাছাড়াও নানা দ্বীপপুঞ্জে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে তারা। সেই প্রসঙ্গে রিচার্ডের মন্তব্য, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করছে চিন। প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত কোয়াড বৈঠকেও এই আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল চার দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে।
ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “চিনকে নিয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়া উভয়েরই সমস্যা রয়েছে। তবে আপাতত আমরা দুই দেশ নিজেদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক রেখেছি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চেষ্টা করছি।” রিচার্ড বলেছেন, গত কুড়ি বছরে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও মজবুত করতে চান বলেই দাবি করেছেন তিনি।